সোমবার , ১২ মে ২০২৫ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র করায় ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
মে ১২, ২০২৫ ৯:০৫ অপরাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত পাহাড় হতে ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল রাঙামাটির গোটা শহর। সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ কর্তৃক জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে ‘তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাব’ দাবির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রমকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যােগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি পৌরসভার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপাস্থ পুলিশ বক্সের সামনে এসে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে মহা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিগত পতিত ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কারও সাথে আলাপ আলোচনা না করে পার্বত্য চুক্তি করে বিপদে পড়েছে আর বর্তমান উপদেষ্টারা সন্ত্রাসীদের সাথে বসে আরেকটি ভুল করতে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন সিদ্বান্ত নেওয়ার আগে এখানে বসবাসরত বাঙালিদের সাথে বসে আলাপ আলোচনা করে যে কোন সিদ্বান্ত নিতে হবে দাবি করা হয় মহা-সমাবেশে।

মহাসমাবেশে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ(পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি’র রাঙামাটি সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান,প্রচার সম্পাদক ইসমাইল গাজী, পিসিসিপি লংগদু উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ সুমনসহ জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

পিসিসিপি’র মহা-সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে, তা আর কোনও অবস্থাতেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। বিশেষত, আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর সঙ্গে (১০ মে)২৫ ইং শনিবার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর আলোচনার পর, পুরো পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। কমিশন কি সত্যিই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে, না সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ করে দেশের নিরাপত্তা ও শান্তির প্রতি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে?

ইউপিডিএফ একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে যার শেকড় রয়েছে অত্যাচার, হত্যাকান্ড, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকান্ডে, সেই দলটিকে এখন রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দলটির অন্যতম নেতা মাইকেল চাকমা, যার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকান্ড, মানুষকে অপহরণ করা, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে, এখন সেই সন্ত্রাসীই গণতান্ত্রিক শাসনের কথা বলছেন। কিন্তু প্রশ্ন আসে, সত্যিই একজন সন্ত্রাসী নেতা কি গণতন্ত্রের প্রচারক হতে পারে? তার অতীত তো একেবারেই ভিন্ন ছবি আঁকছে। মাইকেল চাকমা আত্মগোপনে থাকার পর ৫ আগষ্ট পরবর্তী বিপ্লবী নেতা সাজার চেষ্টা করে অনৈতিক ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে নানা অন্যায় আবদার করে তা আদায় করার চেষ্টা করছে।

মহা সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, একত্রীকরণের নাম করে সন্ত্রাসীদের রাজনীতির মঞ্চে আনা, তা কখনোই গণতন্ত্রের পক্ষে উপকারী হবে না। ইউপিডিএফ, মাইকেল চাকমা এবং তাদের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে রাজনৈতিক বৈধতা প্রদান করা, দেশের জন্য একটি বিপর্যয় ডেকে আনবে পাহাড়ে এটা নিশ্চিত। দেশের অখন্ডতা পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে, ইউপিডিএফের অবৈধ অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করা না হলে তিন পার্বত্য জেলার শান্তিকামী মানুষকে নিয়ে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়া হবে। মাইকেল চাকমা একজন চিহিৃত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ তার সাথে কিভাবে উপদেষ্টারা বৈঠক করে! হাজার হাজার মানুষ খুনি করছে এই মাইকেল চাকমা।

পিসিসিপি’র মহা-সমাবেশ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানান নেতৃবৃন্দরা। দাবি সমূহ হলো-১. ইউপিডিএফ,জেএসএস ও কেএনএফ সহ পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে। ২.দেশদ্রোাহী মাইকেল চাকমা,সন্তু লারমা, প্রসিত খীসা, প্রকৃত রঞ্জন চাকমা, ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, রাজার সহধমীনি রানী ইয়েন ইয়েনসহ পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সকল গডফাদারদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ৩.ঐকমত্য কমিশন থেকে ড.ইফতেখারসহ পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীদেরকে অপসারণ করতে হবে। ৪. সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ,অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বন্ধে নতুন করে বিজিবি’র বিওপি স্থাপন করতে হবে ও ৫.পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি বজায় রাখতে ১৯০০ সালের শাষণবিধি বাতিল করে বৈষম্যহীন পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাজস্থলীতে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু

প্রতারণার ফাঁদ সোহেল রানার / কাপ্তাইয়ে গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

নানিয়ারচরে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক

সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে কাপ্তাই প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

কাপ্তাই শিলছড়ি ভেলাপ্পা পাড়া বৌদ্ধ বিহারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন 

নাব্যসংকটে বন্ধ লঞ্চ চলাচল, ভোগান্তিতে ৬ উপজেলার মানুষ

ভাষা শহীদদের প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র শ্রদ্ধাঞ্জলি

জামিনে মুক্ত কাপ্তাই বিএনপির তিন নেতাকর্মী

রাঙামাটিতে যুগান্তরের রজত জয়ন্তী উদযাপিত

সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাঘাইছড়িতে প্রশাসনের সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: