কাউখালী প্রতিনিধি।
থানা চত্বরেই পুলিশের এসআই আর কনস্টেবলকে কামড়ে রক্তাক্ত করে লাপাত্তা পাগলা কুকুর। কিছু সময় যেতেই আরেক মাছ ব্যবসায়িকেও করেছে রক্তাক্ত। কিন্তু শেষটায় পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতেই নিজেই প্রাণ হারিয়েছে সেই পাগলা কুকুর। মারাত্নক জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আক্রমনের শিকার তিনজনই।
ঘটনাস্থল রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা সদরের থানা চত্তর আর কচুখালীগ্রাম। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন কাউখালী থানার এসআই ওসমান গনি(৩৫), কনস্টেবল আজমুল(২৫) ও একজন মাছ ব্যবসায়ী।
এলাকাবাসী জানান, গত শুক্রবার রাত দশটার দিকে কাউখালী থানা চত্বরে প্রথম আক্রমণের শিকার হন এসআই ওসমান গনি। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই তাকে পেছন থেকে অতর্কিতে কামড়াতে শুরু করে একটি পাগলা কুকুর। তার চিৎকাররে কনেস্টেবল আজমল আসলে তাকেও কামড়াতে থাকে কুকুরটি। চিৎকার শুনে পুলিশের অন্য সদস্যরা সেখানে জড়ো হতেই কুকুরটি পালিয়ে যায়। পরে মারাত্নকভাবে রক্তাক্ত দু’জনকেই উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। সেখানে দু’জনকেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাত একটার দিকে থানা চত্বর থেকে হাটার দূরত্বে উপজেলা সদরের কচুখালী এলাকায় হাজির হয় পাগলা কুকুরটি। সেখানেও এক ব্যবসায়ীর ওপর আকস্মিকভাবে হামলে পড়ে। তাকেও কামড়ে মারাত্নকভাবে রক্তাক্ত করে জখম করে। তার চিৎকার ও আশপাশের মানুষের শোরগোল শুনে স্থানীয়রাও ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে চারপাশ থেকে কুকুরটিকে ঘেরাও করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত ওই মাছ ব্যবসায়িকে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুইমিং প্রু রোয়াজা বলেন, ‘পুলিশের এক এসআইসহ তিনজন শুক্রবার রাতে পাগলা কুকুরের আক্রমনের শিকার হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে’।