উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে রাঙামাটি সদর, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে রাঙামাটি সদর উপজেলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত তিন হাজার মানুষ। রাঙামাটি শহরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
রাঙামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আছমা জানান, রাঙামাটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সবগুলো ওয়ার্ডে কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়াও সদর উপজেলার নিন্মাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে বেশ কিছু ওয়ার্ডে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এই পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন পানিবন্দী অবস্থায় রান্নাবান্না, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পানিবন্দী মানুষের মধ্যে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
পানিবন্দী মানুষ প্রশাসনের জরুরি সহায়তা কামনা করেছেন এবং দ্রুত কাপ্তাই হ্রদের পানি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানিয়েছেন, যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন তারা।
এদিকে কাপ্তাই কর্ণফুলি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সূত্রে জানাযায়, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ জলকপাট দিয়ে সেকেন্ডে ৪৯ হাজার কিউসেক পানি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত হ্রদের পানির স্তর ১০৮.৫১ ফিট রয়েছে।