বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন ২০২৫ | ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

কাপ্তাই ইউএনও’র হস্তক্ষেপে মুক্তি মিললো ৪ শিশুর

প্রতিবেদক
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই, রাঙামাটি 
জুন ১৯, ২০২৫ ২:২৭ অপরাহ্ণ

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: রুহুল আমিন এর হস্তক্ষেপে মুক্তি মিললো কাপ্তাই উপজেলাধীন ৩নং  চিৎমরম ইউনিয়ন এর কেয়াংঘাট এলাকার কিশোর ত্রিপুরা এবং তাঁর স্ত্রী হ্লাসুইনং মারমা (মিতা) ও নাইউমা চৌধুরীর মালিকানাধীন ভাতের হোটেলে কাজ করা ৪ শিশুর।

উদ্ধারকৃত ৪ শিশুরা হলেন রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা যৌথ খামার এলাকার সুইজাইউ মারমা’র ছেলে অংথোয়াইপ্রু মারমা(১০), অংজাই মারমা’র ছেলে সুইথুইমং মারমা, কালা মার্মা’র ছেলে পাইসাচিং মারমা(১২) এবং কাপ্তাই উপজেলার ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর মুরালীপাড়া এলাকার স্লাইচিং মারমা’র ছেলে হ্লাখ্যাইচিং মারমা (১১)।

বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় ইউএনও মোঃ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে  চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এবং ৪১ বিজিবির সহায়তায় ঐ ভাতের হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে এই ৪ শিশুকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় ৩নং চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী, ইউপি সদস্য ক্যাপ্রু চৌধুরী সহ এলাকার অসংখ্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বুধবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ৯ টায় এই প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি খবর পেয়েছি যে, চিৎমরম ইউনিয়ন এর চিৎমরম কেয়াংঘাটে একটি ভাতের হোটেলে ৪ জন শিশুকে পড়াশোনা করার নামে নিয়ে এসে তাদেরকে হোটেলের কাজ করাতো এবং কাজ না পারলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। আমি এদিন ( বুধবার) সন্ধ্যায় ঐ দোকানে গিয়ে শিশুদের সাথে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করি। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদেরকে ডেকে নিয়ে এসে রাতে শিশুদেরকে স্ব- স্ব পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করি।

ভুক্তভোগী শিশুরা অভিযোগ করে বলে যে, আমাদেরকে বাড়িতে যেতে দেয়না, পর্যাপ্ত খাবার দেয়না, আমাদেরকে দিয়ে ভারী কাজ করা সহ হোটেলের যাবতীয় কাজ করায়। নানা অযুহাতে যখন তখন হাতের কাছে যা পায় তা দিয়েই শরীরে আঘাত করে। অথচ লেখাপড়া করাবে বলে নিয়ে আসার পর লেখাপড়াতো করাই না বরং নির্যাতন করে এবং বাবা-মা কে যেভাবে তাদের সাহায্য করার কথা সেভাবেও করে না। এছাড়াও আমাদের হাতে টাকা এবং মোবাইল ধরিয়ে দিয় সেটার ভিডিও করে চোর সাজিয়ে থানা পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার নাম করে হোটেলে কাজ করতে বাধ্য করে।

এইসময় হোটেল মালিক কিশোর ত্রিপুরা এবং তাঁর স্ত্রী হ্লাসুইনং মারমা (মিতা) কে পাওয়া না গেলেও অপর  মালিক নাইউমা চৌধুরী এবং হোটেল মালিক হলাসুইনং মারমার মামাত বোন চিৎমরমের বাসিন্দা ববি মারমা এসময় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে তাদেরকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন।

৩ নং চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী বলেন, শিশুদের অভিভাবক আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি হোটেল মালিকদের তাদের ছেড়ে দিতে বলি। কিন্তু হোটেল মালিক আমাকে জানান তাদের অভিভাবকদের কাছে আমরা অগ্রিম টাকা পাওনা আছি। তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।

৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ক্যপ্রু চৌধুরী বলেন, এই হোটেলে শিশু গুলো নির্যাতনের খবর আমার কানে আসে। আমি হোটেল মালিকদেরকে অভিভাবকদের কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
error: Content is protected !!
%d bloggers like this: