বৃহস্পতিবার , ১৭ জুলাই ২০২৫ | ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

বন বিভাগের নাকের ডগায় দিবারাত অবৈধভাবে কাঠ পাচার

প্রতিবেদক
উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী, রাঙ্গামাটি
জুলাই ১৭, ২০২৫ ৩:২৮ অপরাহ্ণ

সংবাদ প্রকাশেরও পরও বন্ধ হচ্ছে না কাঠ পাচার, রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়তই ছাড়পত্র বিহীন পাচার হচ্ছে অবৈধ সেগুন কাঠ, রদ্দা, গোল কাঠ। কাঠ পাচার নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কাঠ পাচারকারী চক্র। এই নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

রাজস্থলী উপজেলা বিভিন্ন জায়গায় থেকে রাতের অন্ধকারে যেসব গাছের গাড়ি অবৈধ ভাবে যাচ্ছে এসব থেকে সরকার রাজস্ব হাড়াচ্ছে। কিন্তু এসব অবৈধ পাচার কারীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। অর্থের দাপটে বন  প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই মহলটি। অবৈধ পাচার রোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন সচেতন মহল।

সূত্রে জানা যায়, প্রায়ই রাজস্থলী  উপজেলার আমতলি পাড়া আড়াছড়ি পাড়া, ৫নম্বর, বালু মুড়া, বাঙ্গালহালিয়া, নাইক্যছড়া, গবাছড়া, আড়াছড়ি বগাছড়ি মদন কার্বারী পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দিনে রাতে প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে রাজস্থলী বাজার  হয়ে সমতলের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান গোল, রদ্দা ও জ্বালানি কাঠ পাচার করা হয়। এছাড়াও হাজী পাড়া কংসখই ছাইংখং পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকেই সমতলে পাচার হচ্ছে এসব কাঠ। এই নিয়ে বার বার সংবাদ প্রকাশ হলেও স্থানীয় প্রশাসন ও ফরেস্ট অফিসগুলো নিরভ ভূমিকা পালন করছে। যার ফলে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

শুধু রাজস্থলী উপজেলা নয় কাপ্তাই, বিলাইছড়ি সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিনিয়তই অবৈধভাবে দিনে ও রাতে পাচার হচ্ছে কাঠ। কাঠ পাচার রোধে এযাবৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অভিযানও দেখা যায়নি। মূলত বন প্রশাসন ও স্থানীয় গাছ পাচারকারীদের মদদেই হচ্ছে এসব অবৈধ কর্মযজ্ঞ।

সচেতন মহল বলেন, এভাবে দিনে রাতে একের পর এক ছোটবড় গাছ কেটে পাচার করা হলে পরিবেশ বিপর্যয় ও ভারসাম্য হাড়াবে। এলাকার একটি চক্র এই গাছ কাটা ও পাচার এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। এরা বিভিন্ন জায়গায়ও ফরেষ্ট অফিস গুলোকে ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তা না হলে অচিরেই পরিবেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন চিত্র দেখা যায় বাঙ্গালহালিয়া বাজারের উপর দিয়েও গভীর রাতের বেলায় অবৈধ কাঠ ভর্তি গাড়ী পাচার হচ্ছে দশ মাইল খুরিশিয়া রেঞ্জ রাজার হাট বন বিভাগের নাকের ডগার উপর দিয়ে। যাহা রোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: