খাগড়াছড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও সকল ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এর সহযোগিতা সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে রাঙামাটি শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেমিশয়ামের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা কমিটির সহ-সভাপতি কবিতা চাকমা।
এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক যুব নেতা সুমিত্র চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুনীতি বিকাশ চাকমা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি ক্যাসাইনু মারমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক অন্তর চাকমাসহ আরো অনেকে।
এর আগে সোয়া ১০ টার দিকে কুমার সুমিত রায় জিমনেমিশয়াম থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কেকে রায় সড়ক, রাজবাড়ি এলাকা, শিল্পকলা একাডেমি এলাকা, কালিন্দীপুর, বিজনসরণী ও নিউ মার্কেট এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জিমনেশিয়াম এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
বক্তারা বলেন, গত দুই মাস আগে বান্দরবানে থানচিতে একজন খেয়াং নারী ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। সেই ক্ষত মূছে যেতে না যেতেই খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেই বিচার আমরা এখনো দেখতে পাইনি। অবিলম্বে পাহাড়ে সব নারী শিশু নির্যাতনের বিচার ও খাগড়াছড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয়।
এদিকে এঘটনাকে কেন্দ্র করে দীঘিনালা- খাগড়াছড়ি সড়কে বাঙালিদের একটি অটোরিকশা ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তকারী পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এমন দাবি বাঙালিদের। তবে এঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা পাহাড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিচ্ছে পাহাড়ি সংগঠনগুলো।