রাঙামাটির কাপ্তাই লেক হতে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট দিয়ে ৩ ফুট করে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারনে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৬টা হতে চন্দ্রঘোনা – রাইখালী ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে নদীর দুই পাশে যাত্রী সাধারণ চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কীর্তি নিশান চাকমা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ের ১৬টি গেইট ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারনে আজ সকাল ৬টা হতে এই নৌ রুটে ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদীর দুই পাশে কিছু যানবাহন অপেক্ষা করছে পারাপারের জন্য।
এসময় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে কথা হয় কার চালক সাজু, সিএনজি চালক খোরশেদ আলম ও তরিকুল ইসলাম, মোটরসাইকেল আরোহী মো: আজাদ ও মো: জাকারিয়া ইসলাম আখন্দ এবং ট্রাক চালক আব্দুর রহমানের সাথে। তাঁরা সকলে বলেন, কর্ণফুলী নদীতে পানির স্রোত বেশী থাকায় আজ সকাল ৬টা হতে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছি ওপারে যাবার জন্য।
এদিকে বগুড়া জেলা হতে বেড়াতে আসা বান্দরবানগামী পর্যটক তানসেন এবং খোকন আলীর সাথে কথা হয় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে। তাঁরা বলেন, আমরা এক হাইচ বগুড়া হতে এসেছি বান্দরবান যাবার জন্য। কিন্তু ফেরি বন্ধ হওয়ায় আমরা চরম দূর্ভোগে পড়েছি।
এদিকে ফেরিঘাটে কথা হয় ফেরির ইনচার্জ মো: আরমান এবং ফেরির চালক মো: আমিনের সাথে। তাঁরা বলেন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে পানি ছাড়ার ফলে নদীতে অনেক স্রোত। তাই আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা হতে আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্রোত কমলে যদি নদীতে জোয়ার আসে তখন আমরা ফেরির চালার চেষ্টা করবো।
এসময় ফেরিঘাট কথা হয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) রাঙামাটির মেকানিক ফেরির দায়িত্বরত অরুণ বড়ুয়ার সাথে। তিনিও জানালেন, কাপ্তাই লেক হতে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে স্রোতের কারনে ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।