৬ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবিতে রাঙামাটির বিলাইছড়িতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত স্বাস্থ্য সহ-কারীদের কর্ম বিরতি চলছে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী দাবী আদায় না পযর্ন্ত মাঠ পর্যায়ে টিকাদান সহ সকল কার্যক্রম ১লা অক্টোবর হতে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারী উষাথুই মার্মা, ভুতত্ব চাকমা, চিংসালা মার্মা,সন্তোষ চাকমা, জনপেরু বম, নাজমা আকতার, মারুফা আকতার, জেমস্ পাংখোয়া, হ্লামং থুই মার্মা এইসময় সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪ তম গ্রেডে আপগ্রেডেশনসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও ইনসার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নতকরণসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদানের দাবিতে ৬৪ জেলার ন্যায় বিলাইছড়িতেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারীরা এক লাখ বিশ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ইপিআই এর মাধ্যমে শিশু ও মহিলাদের টিকা প্রদান করে থাকেন। কিন্তু তাদের সমমর্যাদার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষক, ভেটেরিনারি ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, সহকারী তহশিলদারগণসহ আরো অনেক দপ্তরের কর্মচারীরা নির্বাহী আদেশে কর্মরত গ্রেড থেকে উচ্চতর গ্রেডে আসীন হয়েছেন। অথচ নিয়োগ বিধি সংশোধন পূর্বক টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি/ইনসার্ভিস ট্রেনিং দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাসের পর্যায়ে রয়েছে, নিয়োগ বিধি সংশোধন করে ইন সার্ভিস ট্রেনিং–এর মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা এখন সময়ের দাবি। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সুপারিশ কৃত নিয়োগ বিধি সংশোধনের প্রস্তাবনার চুড়ান্ত অনুমোদনের দাবি জানানো হয়। পূর্বের দাবী মেনে না নেওয়ায় ১ অক্টোবর হতে মাঠ পর্যায়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী ১২ ই অক্টোবরেও টাইফয়েড টিকাদানেও কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া ন্যায্য দাবি মানা না হলে ধারাবাহিক বিভিন্ন কর্মসূচি ও আন্দোলন পালন করা হবে বলে জানান তাঁরা। এসময় সকল স্বাস্থ্য সহকারীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।