পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ এর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা মাইকেল চাকমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলায় ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে SC ৩৬/৯ প্যানাল কোড ১৮৬০, ৩৮৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত ক্রমে তার বিরুদ্ধে এ রায় দেওয়া হয়।
একই মামলায় সুমন চাকমা নামে আরো একজনকে একই দণ্ড অর্থাৎ ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর সংঘটিত একটি চাঁদাবাজি মামলায় এ দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিঞ্জ আদালত এই রায় প্রদান করে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলত চাননি রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট প্রতীম রায় পাম্পু। তবে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী প্রসাদেব চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন-একই মামলায় দুই নম্বর আসামী সুমন চাকমাকেও ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিন নম্বর আসামী প্রদীপ চাকমাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামীরা উপস্থিত ছিলেন না।
ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা ও তার সহযোগী সুমন চাকমাকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করার সময় ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্র ও টাকাসহ আটক করে লংগদু থানায় মামলা সহ হস্তান্তর করে। এতে লংগদু থানায় চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। এরমধ্যে অস্ত্র আইনে মামলা নম্বর নং- ৫, তারিখ ৩০ অক্টোবর, ২০০৭। জি আর নং- ৩৩০/২০০৭।
অস্ত্র মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ মাইকেল চাকমাকে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি করায় ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। আদালত এসময় উভয় ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে রায় দেন।
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অপরাধে মামলার অপর আসামী সুমন চাকমাকে ৭ বছর সশ্রম কারা দন্ডে দণ্ডিত করা হয়। তবে আসামী মাইকেল চাকমা এসময় গুম থাকায় তার বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করা যায়নি।