রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে পাহাড়ে বসবাসরত ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক সাংগ্রাই বিজু বিষু বিহু উৎসব।
সোমবার বিকালে রাঙামাটি শহরের কলেজ গেট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। র্যালীটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে ফিটা কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে এ উৎসবের সূচনা করা হয়।
করোনার কারণে গেল দুটি বছর পাহাড়ে বৈসুক সাংগ্রাই বিজু বিষু উৎসব করতে পারেনি পাহাড়িরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবার বর্নাঢ্য আয়োজনে উৎসব হচ্ছে পাহাড়ে।
রাঙামাটি জেলা পরিষদ ও জেলা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ৫ দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সোমবার রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এরপর পরই নাচে গানে মেতে উঠেন পাহাড়িরা। পাহাড়িদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগী করতে সমতল থেকে আসা মানুষও যোগ দিয়েছে এ উৎসবে।
উদ্বোধনী দিনের আয়োজন ছিল শোভাযাত্র্রা, ডিসপ্লে নৃত্য, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ইমতাজ উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য অংসু্ই ছাইন চৌধুরী, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, মুছা মাতব্বর, এড দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক রুনেল চাকমা।
বাংলার পুরাতন বছরকে বিদায় নতুন বর্ষ বরণকে কেন্দ্র করে পাহাড়িরা ১৫ দিন ব্যাপী উৎসব করে থাকে। মুল উৎসব হয় ৩০ চৈত্র।
৪ এপ্রিল শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করবে।
রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটে প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হচ্ছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বসেছে মেলা। ১২ এপ্রিল কাপ্তাই কাপ্তাই হ্রদে ভাসানো হবে ফুল। আগামী ১৬ এপ্রিল রাঙামাটির কাউখালীর বেতবুনিয়ায় জল খেলী উৎসবের মধ্যে শেষ হবে পাহাড়ের এ উৎসব।