রবিবার , ১০ এপ্রিল ২০২২ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

আদিবাসীদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন দরকার- সন্তু লারমা

প্রতিবেদক
হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
এপ্রিল ১০, ২০২২ ৪:৫০ অপরাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের ঐতিহ্য কৃষ্টি সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে পার্বত্য চুক্তির পুর্ণ বাস্তবায়ন দরকার। চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে আদিবাসীদের কৃষ্টি সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে। কিন্তু চুক্তি সম্পাদনের ২৫ বছর পার হলেও পার্বত্য চুক্তি যথাযত বাস্তবায়ন না হওয়ার পাহাড়ের আদিবাসীরা প্রাণখুলে তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু সাংগ্রাই বৈসুক পালন করতে পারছে না।

কথাগুলো বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।

রবিবার সকালে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে বৈসুক সাংগ্রাই বিজু বিহু সাংক্রান দ্বিতীয় ধাপের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

সন্তু লারমা আরো বলেন, আদিবাসীরা এ উৎসবের মধ্যে দিয়ে তাদের সংস্কৃতি ধরে রাখার চেষ্টা করে। এটি ধরে রাখতে তারা যুগ যুগ ধরে আন্দোলন করে আসছে। পার্বত্য চুক্তিতে এ অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু সে চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এতে আদিবাসীরা অধিকারহীন হয়ে পড়েছে। পাহাড়ের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর লোকজন তাদের মাতৃভাষা হারিয়ে ফেলছে। তা যেন না হয় স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বাড়িতে বাড়িতে নিজেদের মাতৃভাষার চর্চা করতে হবে। অংসুই প্রু চৌধুরী আরো বলেন, সরকার পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের অধিকার ঐতিহ্য কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষার জন্য পার্বত্য চুক্তি আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ। করা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট।

চুক্তি পুর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি উল্লেখ করে অংসুই প্রু বলেন, সবাই চায় চুক্তি বাস্তবায়ন কিন্তু হচ্ছে না। বাস্তবায়ন হতে বাধা কোথায় তা চিহ্নিত করে সম্মিলিতভাবে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।

বৈসুক সাংগ্রাই বিজু বিহু সাংক্রান উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ঝর্ণা খীসা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা, বালুখালী ইউপি চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক পঞ্চানন ভট্টাচার্য।

আলোচনা সভা শেষে এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি রাঙামাটি চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজবাড়ি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এসে শেষ হয়।

দ্বিতীয় ধাপে শুরু হওয়া এ উৎসব শেষ হবে  আগামী ১২ এপ্রিল। ১৬ এপ্রিল রাঙামাটির কাউখালীর বেতবুনিয়ায় মারমাদের সাংগ্রাই জল উৎসবের মধ্য দিয়ে ১৫ দিন ব্যাপী পাহাড়ের বৈসাবী উৎসবের সমাপ্তি হবে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: