রাঙামাটির কাপ্তাই পাহাড়ী বনাঞ্চল হাতির নিরাপদ আবাসস্থল হিসাবে পরিচিত। বিগত কয়েক বছর ধরে এসব বনাঞ্চলে নিরাপদে বিচরণ করে আসছিল হাতি। বর্তমানে হাতি সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। বন উজাড় করে ঘরবাড়ি সড়ক নির্মাণ এবং খাবার সংকটের কারনে মূলত বনের হাতি প্রায়:শ লোকালয়ে চলে এসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করছেন।
তাই বন্য হাতির খাদ্য ও আবাসস্থল নিরাপদ রাখার জন্য কাপ্তাই বন বিভাগের উদ্যোগে এবং কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারি) সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান এলাকা, কাপ্তাই শিল্প এলাকা সহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সচেতন মুলক প্রচার ও প্রচারনা কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ এর কাপ্তাই রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার আবু সুফিয়ান এর নেতৃত্বে বন বিভাগের কর্মীরা এই প্রচার কাজে অংশ নেন।
এসময় কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার আবু সুফিয়ান এই প্রতিবেদককে বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানে সরকার কর্তৃক হাতি সংরক্ষনে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাই পাহাড়ী বনাঞ্চলে হাতির বিচরন ক্ষেত্রে এবং বন্য হাতি চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না। যেমন: বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ফাঁদ, দেশী বা বিদেশী অস্ত্র দ্বারা বা অন্য কোন উপায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
তিনি আরোও বলেন, বন্যপ্রাণী ( সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন- ২০১২ অনুযায়ী হাতি হত্যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। হাতি হত্যার সাথে কেউ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকলে এবং তা প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। বন্যপ্রাণী ( সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন- ২০১২ অনুযায়ী হাতি হত্যার সর্বোচ্চ শার্স্তি ০৭ (সাত) বছর কারাদন্ড এবং ১০ (দশ) লক্ষ টাকা জরিমানা। বন্যহাতি দ্বারা ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোন মানুষ আহত কিংবা নিহত হলে নীতিমালা অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে সরকার কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।