কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ার মনাইপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণের সময় পাহাড় ধসে দুজন নির্মান শ্রমিক নিহত হয়েছে।
শক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোষ্ট মর্টেম করে পরিবারের নিকট হস্তান্তরসহ যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে বেশ গোপনীয়তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ ঘটনাটি গোপনীয়তা একটি মহল তৎপর থাকলেও রাত সারে দশটায় কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ এস এস শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ বা মামলা করেনি। তবে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলার ১ নং বেতবুনিয়া মডেল ইউনিয়নের মনাইপাড়ার মাইল্যাছোলা নামক এলাকায় ডলুছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাধন বড়ুয়ার বাড়িতে শুক্রবার সকালে পূর্বে পাহাড় কাটা ছিল এবং নতুন করে বাড়ির পাশে পাহাড়ের সাথে লাগানো নতুন করে ওয়াল নির্মানের জন্য কাজ করছিলেন দুই শ্রমিক। হটাৎ করে পুর্বে কাটা পাহাড় ধ্বসে পড়ে এই দুই শ্রমিকের উপর। এবং ধ্বসে পড়া পাহাড়ের মাটি চাপা পড়েন দুই শ্রমিক।
খবর পেয়ে সাথে সাথে এলাকার লোকজন দৌড়ে এসে তাদের দুই শ্রমিক কে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। কিন্তু উদ্ধার করে কোন লাভ হয়নি। কারণ ততক্ষণে সব শেষ। দুই শ্রমিক ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন।
মৃত শ্রমিকরা হলেন ১) মোঃ পেয়ার মোহাম্মদ (৫০) পিতা মৃত, কবির আহমদ মিস্ত্রি, সাং দক্ষিণ পাড়া, ২) সুফল বড়ুয়া(৩৮) পিতা অঞ্জন বড়ুয়া, সাং বেনুবন, বেতবুনিয়া, কাউখালী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা বলে জানা যায়।
পরে খবর পেয়ে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ দল দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মৃত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন এবং পোস্ট মর্টের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন বলে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক বিকাস সরকার জানান।
গতকাল রাতে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ হতে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি বলে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ এস এস শহীদুল ইসলাম জানান। সকালে দুজনের মৃত্যু নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে জানান কেউ অভিযোগ দিলে মামলা দায়ের করা হবে।