কাউখালী উপজেলার ঘিলাছড়ি এলাকায় গত শনিবার রাতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত এক বৃদ্ধ মহিলার গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ।
জানা যায় উপজেলার ৩ নং ঘাগড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা ঘিলাছড়ি বাংগালী গ্রামের অত্যান্ত গরীব অসহায় এক মহিলা রাতের বেলা রাস্তা পার হওয়ার সময় কাউখালী উপজেলা সদর হতে যাত্রী বহনকারী একটি মোটরসাইকেল বৃদ্ধ মহিলাটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে মহিলাটি রাস্তার বাহিরে ছিটকে গিয়ে পরেন। মোটরসাইকেল চালক মহিলাটিকে ফেলে ঘটনাস্তল থেকে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
পরে এলাকার লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( চমেক) প্রেরণ করেন। সেখানে তিন দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার রাতে বারটার সময় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন। মৃতের নাম জয়গুন বেগম(৭০) স্বামী মৃত,আজগর আলী, সাং ঘিলাছড়ি বাংগালী পাড়া,কাউখালি রাংগামাটি পার্বত্য জেলা।
এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মৃতদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানা যায়। লাশ পোস্টমর্টেম করে মৃতের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কাউখালী থানায় মৃতের পরিবারের সদস্যদের পক্ষ হতে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি বলে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম জানান।
অপরদিকে স্থানীয় লোকজন জানান বেশ কিছু দিন যাবত কাউখালী উপজেলার ঘিলাছড়ি এলাকায় কিছু ছেলে ভালো করে মোটরসাইকেল চালনা না শিখে এবং যাদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই তাদের মোটরসাইকেলের কোন ডকুমেন্টস। তাহলে কি করে এসব আনাড়ি চালক এই পাহাড়ি এলাকায় সাধারণ মানুষের জীবন মরণ নিয়ে খেলা করে। বেশ কিছু দিন আগেও এই ঘিলাছড়ি এলাকায় এই ধরনের মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা পতিত হয়েছিল বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।
এলাকার লোকজন খুব আক্ষেপের সহিত বলেন এক্ষুনি যদি এই সড়কে এই ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল আনারী চালকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেয়া না হয় তাহলে ভবিষ্যতে এর চেয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় ঘটতে পারে বড় ধরনের প্রাণহানি।