বুধবার , ২০ এপ্রিল ২০২২ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

কাপ্তাই হ্রদে পানি কমায় / জুরাছড়িতে নৌ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি 

প্রতিবেদক
সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি, রাঙামাটি
এপ্রিল ২০, ২০২২ ২:২৯ অপরাহ্ণ

 

কাপ্তাই হ্রদে অস্বাভাবিক মাত্রায় পানি কমে যাওয়ায় রাঙামাটি জেলা শহরের সঙ্গে উপজেলার লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে পরার উপক্রম হয়ে পরেছে। এতে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন লঞ্চযাত্রীরা। একই কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। সম্প্রতি তীব্র দাবদাহ ও হ্রদের তলদেশ ভরাট হওয়ায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হ্রদ ভরাট হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। হ্রদটি এখন ধীরে ধীরে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। ড্রেজিং না হওয়ায় তলদেশ ভরাট হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে জেগে উঠছে অসংখ্য চর। এ কারণে প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমের লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

জানা গেছে, রাঙামাটি জেলা সদরের সঙ্গে জুরাছড়ি একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নৌপথ। তদের প্রতিনিয়ত নৌ পথে যাতায়াত করতে হয়।

খাগড়াছড়ি খাল, সলক নদী কাপ্তাই হ্রদের সঙ্গে যুক্ত। এসব নদীর বয়ে আনা পলিতে ভরাট হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের তলদেশ। এ কারণে মাছের অভয়াশ্রম কমে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে গভীর পানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি চাকমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হ্রদে ৭৫ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৬৭টি দেশীয় ও ৮টি বিদেশি মাছ পাওয়া যেত। এর মধ্যে ৬ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরও ৬টি প্রজাতির মাছে বিলুপ্তির পথে। জেলেদের জালে এখন মাত্র ১০ থেকে ১৫ প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে।

তিনি বলেন কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং করা না হলে মাছের উৎপাদন আরও কমে আসবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, রাস্তা মাথা থেকে ভিজাকিসিং বার্মিজ বোটে একজন ৮০ টাকা ও ভিজাকিসিং হতে রাঙামাটি ৭০ টাকা হারে ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অথচ আগে যেখানে ৮০ টাকায় রাঙামাটি যাওয়া যেত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, তীব্র দাবদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি ক্রমেই শুকিয়ে যাচ্ছে। পলি জমে তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যাওয়া আসা এখন খুবই কষ্ট কর।

উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, উপজেলার ছলক খাল ড্রেজিং করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে উদ্যোগ নিয়ে ছিল। ইতিমধ্যে সমীক্ষাও করা হয়েছে। তবে কেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ড্রেজিং কাজ শুরু করছে না বিষয়টি উদ্ধেগ জনক।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: