বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীর শ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় ল্যান্স নায়েক শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফকে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর বুড়িঘাট গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল মর্টার শেলের আঘাতে তিনি শহীদ হন।
পরে দয়াল কৃষ্ণ চাকমা নামে স্থানীয় এক পাহাড়ি ব্যক্তি মুন্সি আব্দুর রউফ এর দেহাবশেষ দেখতে পেয়ে তা উদ্ধার করে বুড়িঘাটের একটি পাহাড়ি টিলায় তা সমাহিত করেন। আজ তার ৫১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী।
১৯৪৩ সালের ১ মে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম মুন্সি মেহেদি হাসান ও মুকিদুন্নেসার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বাঙালীর এই মহান যোদ্ধা।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২নং কমান্ডো ব্যাটেলিয়ানের দুই কোম্পানি সৈনিক ৭টি স্পিড বোট ও ২টি লঞ্চ সহযোগে রাঙামাটি-মহালছড়ি নৌপথের আশেপাশে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর উপর আক্রমণ করে। লঞ্চগুলোতে ৬টি ৩” মর্টার সজ্জিত ছিলো।
পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিবাহিনীর অবস্থান টের পাওয়া মাত্রই তাদের অবস্থানের উপর ৩” মর্টারের গোলাবর্ষণ শুরু করে। তাদের এই অতর্কিত আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
এই সুযোগে কিছু পাকিস্তানী সৈন্য পাড়ে নেমে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান ঘিরে ফেলে। শহীদ হন ল্যান্সনায়ক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ।
তার সমাধী ঘিরে পার্বত্য অঞ্চলে স্থান পেয়েছে যুদ্ধকালীন সময়ের তার বীরত্বগাাঁথা। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের স্মৃতি সৌধে অসংখ্য মানুষ আসেন শ্রদ্ধা জানাতে ।