তৃণমূল সাংবাদিকতায় বসুন্ধরা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় রাঙামাটির প্রবীণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদকে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি প্রেসক্লাব কনফারেন্স রুমে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংবর্ধিত অতিথি দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী, পূর্বদেশ পত্রিকার সম্পাদক আবু তালেব বেলাল, রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুলের সাধারন সম্পাদক মোঃ নুরুল আবছার, সাংবাদিক মনসুর আহম্মেদ, ফাতেমা জান্নাত মুমু, উছিংছা রাখাইন কায়েস, দীপ্ত হান্নান, মঈনুদ্দিন বাপ্পী প্রমূখ। সংবর্ধনা সভায় উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ সোলায়মান।
সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, এ কে এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্য এলাকায় অশান্তির দাবানল থেকে মুক্ত করতে সেই সময় সাহসিকতার মাধ্যমে সাংবাদিকতা করে গেছেন পাহাড়ে। তার লেখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমস্যা, সম্ভাবনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকায় তুলে ধরেছেন। দীর্ঘ এই পথ চলায় তিনি সত্য সংবাদ প্রকাশ হতে কখনো নিজেকে বিরত রাখেন নাই। তাই তিনি এই পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার বাতিঘর। তাঁর এই আদর্শকে বুকে ধারণ করে এই পার্বত্য অঞ্চলে অনেকেই সাংবাদিকতার পেশায় যুক্ত হয়েছেন এবং বর্তমানে অনেকেই ঢাকার বড় বড় টিভি চ্যানেল পত্রিকায় কাজ করছেন।
সংবর্ধনা সবায় সংবর্ধিত এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, জীবনের পড়ন্ত বেলায় বসুন্ধরা মিডিয়া এ্যাওয়াড আবার জন্য বিরল সম্মাননা। আর ঐদিন আমি আমার সাংবাদিকতার জীবনে সর্বশ্রেষ্ট পাওয়া। আর এই সম্মাননা পাওয়ায় পার্বত্য এলাকায় নতুন প্রজন্মের যারা সাংবাদিকতা করছেন তারা অনুপ্রাণিত হবে এবং পাহাড়ে সাংবাদিকতায় অবদান রাখতে সচেষ্ট হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় সংবর্ধনা সভায় বক্তারা বলেন, এ কে এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্যাঞ্চলে সংবাদপত্র প্রকাশ ও সাংবাদিকতার পেশায় যদি না আসতো হয়তো পার্বত্যঞ্চলে আজ এতগুলো সাংবাদিক সৃষ্টি হতো না। তিনি মনোবল ও সাহস জুগিয়েছেন বলেই আজ পাহাড়ে অনেক সংবাদকর্মী ও সংবাদপত্রের জন্ম হয়েছে। আর সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে তাঁর অবদান আছে বলেই আজ তৃণমূল সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাডওয়ার্ড পেয়েছেন। যা পার্বত্য রাঙামাটি জেলার জন্য যেমন গর্বের বিষয়। আজকে এ কে এম মকছুদ আহমেদকে সংবর্ধনা দেয়ার মাধ্যমে নিজেরাই সংবর্ধিত হতে পেরেছি আমরা। আর যেখানে গুণিজনদের সম্মাননা দিতে জানেনা তারা গুণিজন হতে পারে না। আজ এ কে এম মকছুদ আহমেদকে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাডওয়ার্ড দেয়ার কারণে দেশ-বিদেশের মানুষ চিনেছে, জেনেছে। তাই পাহাড়ের এই গুণী মানুষটির কথা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরতে পারলে অবশ্যই একেএম মকছুদ আহমেদকে সরকার মূল্যায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে তৃণমূল সাংবাদিকতায় বসুন্ধরা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় রাঙামাটির প্রবীণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদকে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনার ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।