খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন একটি বাজারের নাম দীঘিনালা থানা বাজার। এ বাজারে সপ্তাহে একদিন হাট বসে মঙ্গলবারে। হাটের দিন বাজারে নানা ধরনের ব্যবসায়ীদের পদচারনায় মুখোরিত থাকে। সপ্তাহের হাটের দিনে কলা ও কাঁঠাল বিক্রয় করতেে এসে বিপাকে পড়েছে দূর-দুরান্তের কৃষকরা।
এ বাজারে হাটের দিনকে কেন্দ্র করে কয়েকহাজার নানা শ্রেণীর মানুষ মিলিত হয়। বাদ পড়ে না উচ্চবিত্ত, কৃষক তথা দিনমুজুর। কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার দূর্ঘম পাহাড়ের ঝিরি-ঝর্ণা, খাল-নদী, পাহাড় ডিঙ্গিয়ে মঙ্গলবার হাটের দিন বিভিন্ন গোত্রের কয়েকশত কৃষক বাজারে আসেন।
সরেজমিনে দেখা যায় সকাল ৪ টা থেকে বাজারে অবস্থান করেও দুপুর ১২ টা পর্যন্ত একটি কলা এবং কি একটি কাঁঠাল বিক্রয় করতে পারেনি শতাধিক এই কৃষক।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কৃষক মিন্টু চাকমা(৩৮) জানান, সকাল ৫ টায় ৩০ ছড়া কাঁচা কলা দীঘিনালা থানা বাজারে বিক্রয় করতে এসেছি। দুপুর হয়েছে ১ টি কলার ছড়াও বিক্রয় করতে পারি নাই। দীঘিনালা উপজেলার রশিক নগর এলাকার শেখ-ফরিদ(৫০) জানান, সকালে ভোরে দুইশতাধিক কাঁঠাল নিয়ে বাজারে এসেছি। কাঁঠাল বিক্রয় করে কোরবানের ঈদে সন্তাদের জন্য বাজার করবো। বাজারে এসে দেখি কোন কাঁঠার বিক্রয় করা যাচ্ছে না। একই এলাকার মজিবুর রহমান (২৫) জানান, দুইশত৫০ টি কাঁঠাল নিয়ে বাজারে এসেছি। কোন ব্যাবসায়ী আমাদের কাঠাল ক্রয় করতে চাচ্ছেন না। এতো গরমে আমাদের কাঁঠাল গুলো পেকে যাচ্ছে।
উপজেলার দূর্ঘম কাটারংছড়া এলাকার সন্জয় ত্রিপুরা(৩০) জানান, বাজারে কাঁঠাল এনে বিপদে পড়েড়ি। বিক্রয় হচ্ছে না, এতো দূর থেকে কাঁঠাল এনে এখন বিক্রয় করতে না পারলে সদায় করতে পারবো না। ২ং যৌথ খামার এলাকার তপন ত্রিপুরা(৩৫) জানান, বাজারে কলা এনে বিক্রয় করতে পারছি না।
কলা ও কাঁঠাল না কিনায়, হাটের দিনের কলা ও কাঁঠাল কিনতে আসা ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলা হলে ব্যবসায়ীরা জানান, হাটের দিনে বাজারে চাঁদা, পৌরসভা টেক্সট, জেলাপরিষদ টেক্সট, রাস্তায় স্থানীয় সংঘঠনগুলোকে চাঁদা দিতে হয়। এসময় এক কলা ব্যাবসায়ী জাহিদুল(৩৭) জানান, আগে কলা কিনেছি লাভ হয়েছে, এখন লাভ না হওয়ায় কলা আজ থেকে কলা ক্রয় করি নাই। তবে লাভ না হওয়ার কারন জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, জেলা পরিষদ টেক্সট, পৌরসভা টেক্সট, গাড়িটানা টেক্সট, হাইওয়ানে চাঁদা, বাজার টেক্সট। আরেক ব্যবসায়ী শাহআলম জানান, বিভিন্ন টেক্সট বাড়িয়ে দেওয়ায়। আমরা লাভবান হচ্ছি না তাই হাটের দিনে কলা কিনতেছি না।
কলা ও কাঁটাল ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি, মোঃ বাঁচা জানান, অতিরিক্ত লাইন খরচ, হাইওয়ানে চাঁদা, মাটিরাঙ্গায় চাঁদা, গুইমারায় চাঁদা, দীঘিনালা বাজার ফান্ডের অতিরিক্ত টেক্মট, পৌরসভা টেক্মট, জেলাপরিষদ টেক্সটসহ বিভিন্ন টেক্সট বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা ব্যবসায়ীরা কলা কিনছি না।