রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এর রাইখালী বাজারে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় দুই’ শত বছরের একটি তেতুঁল গাছ। বাজারে মাঝখানে এই গাছটির অবস্থান। বৃহস্পতিবার যখন সাপ্তাহিক হাট বসে তখন দূর দূরান্ত হতে ক্রেতা, বিক্রেতারে ক্লান্ত শরীর নিয়ে এই গাছের ছায়ায় বসে মনকে প্রশান্তিতে ভরে রাখেন। আবার অনেক অস্থায়ী বিক্রেতা, এই গাছের নীচে বসে তাদের পসরা সাজান।
জানা যায়, ১৯৫০ সালে যখন চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলি পেপার মিলস (কেপিএম) হতে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে রাইখালী বাজার স্থানান্তর করা হয়, তার অনেক বছর আগে হতে তেঁতুল গাছটি বাজারে মাঝখানে দেখতে পান এলাকার প্রবীন লোকেরা। তাদের একজন এলাকার ৮০ বছর বয়সী ভোলা প্রসাদ ভট্রাচার্য্য। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, আজ হতে ৭২ বছর আগে কেপিএম হতে রাইখালী ইউনিয়ন এর রাইখালী বাজারে সাপ্তাহিক হাট এপারে স্থানান্তরিত হয়। তখন আমি এই গাছটিকে অনেক বড় দেখেছি। আমার বাবাও গাছটি দেখেছেন, তাই বলা যায়, প্রায় দুই শত বছরের কাছাকাছি এই গাছটির বয়স হবে।
এলাকার বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা দিলিপ কুমার দাশ ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য জানান, এটা একটি প্রাচীন তেঁতুল গাছ। সেই ছোটবেলা হতে এটাকে আমরা দেখে আসছি। তাই বলা যায়, এটার বয়স ১ শত ৭৫ বছরের উপরে হবে।
রাইখালী বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ তালুকদার জানান, এটি একটি পুরানো তেঁতুল গাছ। সাপ্তাহিক হাটে লোকজন রাইখালী বাজারে এসে এটার নীচে বিশ্রাম নেয়, দোকানিরা এটার নীচে বসে বেচাবিক্রি করে।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মধুসূদন দে জানান, এটি একটি বহুবর্ষজীবি গাছ। অনেক পুরানো দিনের ঐতিহ্য বহন করেন এটি। ছায়াদানের পাশাপাশি এটির অনেক অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে।