বান্দরবানে রুমা উপজেলায় জেলার প্রেক্ষিতে পুষ্টির ধরণের অগ্রাধিকার, বাজেট বিশ্লেষণ ও করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫শে আগস্ট) সকাল ১০ ট্য় রুমা উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে কারিতাসের লিডারশীপ টু এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) প্রকল্পের আওতায় এ সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি মোঃ দিদারুল আলম রুমা উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) উদ্বোধন করেন।
রুমা উপজেলায় লীন প্রকল্পের সমন্নয়কারি খ্রিষ্টফার রিটন আসাম প্রকল্পের পরিচিত, উদ্দেশ্য, কার্যকলাপ সহ সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করে বলেন দরিদ্র জনগোষ্ঠী জন্য উন্নত ও টেকসই পুষ্টি বিষয়ক সেবাদান ব্যবস্থা কাম্য পরিবেশ ও সচেতনতা সৃষ্টি, দরিদ্র গর্ভবতী ও প্রসূতি মা, কিশোর এবং শিশুর জন্য নিরাপদ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্য সহজলভ্য ও গ্রহণ বৃদ্ধি করা।
পরে মুক্ত আলোচনায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের মংক্যচিং মার্মা, গ্যালেংগা ইউপি চেয়ারম্যান মেনরত ম্রো, ও শিক্ষক চনুমং মার্মা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ভার্প্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিদীপ চাকমা, কারবারী ভানরেম লাল বম সহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বামং প্রু মারমা।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গর্ভবতী মা ও শিশুদের পুষ্টির যুক্ত খাবার দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ। একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় তখন পুষ্টি খাবর অভাব হলে গর্ভের সন্তানের উপর প্রভাব পরবে। ও-ই গর্ভের সন্তান প্রতিবন্ধি হাওয়া সম্ভভাবনা বেশি।
সন্তান জন্মে পরপর বা একঘন্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ ( শাল দুধ) খাওয়াতে হবে। কারণ এ দুধে পুষ্টি আছে। অনেকে ফেলে দেয়। এটা ফেলা যাবেনা। এই বিষয়ে আমাদের অনেক সচেতন হতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ সাবাব ফারহান।
মুক্ত আলোচনায় সঞ্চলনা করেন রুমা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শৈহ্লাচিং মার্মা।