রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেপেন লিলার, ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি ক্রিস্টিন বোলেখুস, ফাও কান্ট্রি প্রতিনিধি রোবার্ট সিমসন ইউনিসেফের কান্ট্রি প্রতিনিধি সোল্ডেন য়েট, ইউর এইচ ই চার্লেস, ইউকে হাই কমিশনার রোবার্ট চ্যাটারন ডিকসন, নরওয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এইট ই ইসপেন রিকটার সেভেন্ডসেন এবং ইউএনর আবাসিক সমন্বয়ক গায়নে লুইস।
১৫ নভেম্বর ২০২২ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সাথে তার অফিস কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
প্রতিনিধি দল সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। ত্রা মধ্যে এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বুঝতে চান। পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পরিষদগুলো এখানে কিভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করে এবং এখানকার মানুষ কিভাবে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করেছে এ সম্পর্কে তারা জানতে চান।
চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী পরিদর্শন টীমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শান্তি চুক্তির পরবর্তী বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বান্তবায়ন করে যাচ্ছে তার মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা,রাস্তাঘাট,কৃষি,বনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন সহ এলাকার পিছে পড়া জনগোষ্টির জন্য রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয় গঠিত পরিষদ ব্যবস্থা, হস্তান্তরিত বিভাগ, জেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড সমন্বয়, এনজিও সমন্বয় এবং পরিষদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন এবং শান্তিচুক্তির পর ইউএনডিপির মাধ্যমে বিদেশী দাতাদের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন জেলার প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল জাতীয়করণ, ম্যালেরিয়া নির্মূলকরণ এবং কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য আত্বসামাজিক উন্নয়নসহ নারী শিক্ষা উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দাতা সংস্থাদের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বনায়ন, এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করলে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সচেতন এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করা সম্ভব হবে ।
তিনি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের অংশ হিসাবে শান্তিচুক্তি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, ভারত প্রত্যাগত এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে টাস্কফোর্স এবং ভূমি সমস্যা সমাধানে ভূমি কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের দারিদ্রতা বিমোচন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দাতা সংস্থাগুলো এগিয়ে আসবে।
সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ও আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধি এবং পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া,ঝর্না খীসা, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মোঃ শিবলী নোমান উপস্থিত ছিলেন।