শনিবার , ৮ এপ্রিল ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

সন্ত্রাসীদের ভয়ে গ্রাম ছেড়েছে ১৪৩ খিয়াং পরিবার

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
এপ্রিল ৮, ২০২৩ ৬:২৩ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা মাঝামাঝি খাংতাম পাড়া এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে ১৪৩টি খিয়াং পরিবার।

এ ঘটনায় রোয়াংছ‌ড়ি‌ সদরে এসে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয় ১২৩পরিবার।

অন্যদিকে পাড়ার পার্শ্ববর্তী রুমা উপ‌জেলার অং‌শে প্রায় ২০ টি প‌রিবার রুমা উপজেলা সদরের বম কমিউনিটি হল রু‌মে আশ্রয় নিয়েছে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এর সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা ও ইউপিডি এফ গণতান্ত্রিক দলের সাথে ব্যপক গোলাগুলি হয়।

পরে শুক্রবার সকালে সেখানে গিয়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত আটজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।

পরে রোয়াংছ‌ড়ি‌ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশের দাবি, পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেএনএফ ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

গোলাগুলির পর প্রাণ রক্ষার্থে পাড়া থেকে পালিয়ে আসা রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে ১২৩ টি পরিবারের ১৯৬ জন সদস্য।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক পালিয়ে আসা কয়েকজন জানান, হঠাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার পাশে জঙ্গল থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পায়। পরেদিন সকালে স্কুলে পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থা আটজনের লাশ পড়ে আছে।

তারপর গ্রামে থাকায় নিরাপত্তাহীন ভেবে প্রাণ বাঁচাতে যে যার মত পারি গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এসেছি। যেকোন সময় নিজেদের ভিটা চলে যেতে হবে, তাই ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা ভেবে পরিস্থিতি নিয়েও সবকিছু বিস্তারিত বলতে অপরাগত প্রকাশ করছে।
রোয়াংছড়ি উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা বলেন, উপজেলার আওয়ামী পক্ষ থেকে ২০০কেজি চাউল, ৩ লিটার তেল, ৫কেজি পেঁয়াজ, ৫কেজি আলুসহ নগদ অর্থ সহায়তা করেছি। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে গোলাগুলির পর খামতাং পাড়া থেকে পালিয়ে আসা ২০টি পরিবারের ৭৫ জন সদস্য রুমা বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উ হ্লা চিং মারমা বলেন, এ ঘটনার স্থলটি রোয়াংছ‌ড়ি ও রুমা উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে পড়েছে। ওই এলাকায় গোলাগুলির ঘটনার পর পাড়াবাসীরা আতঙ্কে পালিয়ে এসে ২০টি পরিবার এখন রুমা উপজেলার বাম কমিউনিটি হলে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের খারার দাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এব্যাপে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের ভয়ে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের গ্রামে ফেরত পাঠানো হবে জানান তিনি।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ের দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরপর প্রাণ রক্ষার্থে শুনেছি দুই উপজেলা থেকে পালিয়ে এসে রোয়াংছড়ি সদর ও রুমা সদরে বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা স্বার্থে দুইটি থানা থেকে সার্বক্ষণিক পুলিশের টিম দায়িত্ব পালন করছে। খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসন মিলে এই বিষয়ে অগ্রসর হব।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

বর্ষা মৌসুমে কাঠের আসবাবপত্রের যত্ন নেবেন যেভাবে

রামগড়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিলো রেড ক্রিসেন্ট

রাজস্থলীতে মাঠ দিবস পালিত

রাঙামাটি সেন্ট ট্রিজার স্কুলে শিক্ষা সাহিত্য ও বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত

বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাচনে হতাহত পরিবারের সদস্যদের পূণর্বাসন দাবীতে মানবন্ধন

কাউখালীতে পাহাড় ঘেঁষে কয়েকশত পরিবারের ঝুঁকিপুর্ন বসবাস

শোক দিবসে  কাপ্তাইয়ে বিজিবির  ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প; খাবার ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ 

বাঘাইছড়ি মাতৃভাষা ব্যাডমিন্টন টূর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন রুপেন ও তুহিন চাকমা 

দীঘিনালায় আগুনে পুড়ল দুই বসতঘর

সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রামগড় থানার কার্যক্রম চলছে

%d bloggers like this: