রবিবার , ২০ আগস্ট ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটি বিএম ইনস্টিটিউটে যাওয়ার রাস্তা নাই

প্রতিবেদক
এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
আগস্ট ২০, ২০২৩ ৫:০৭ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি জেলা সদরের মধ্যে অবস্থিত রাঙামাটি বিএম ইনস্টিটিউট কারিগরি একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এই প্রতিষ্ঠানে ৪শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে আসছে। ১৯৯৭ সালে বিএম ইনস্টিটিউট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠতা লাভ করে।

কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, নেই যাতায়াতের রাস্তা।

উচুনিচু পাহাড়ি যে কাচা রাস্তাটি আছে সেটা দিয়ে পায়ে হাটাচলা অত্যন্ত দুর্ভোগের। আর বৃষ্টি  হলে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটাচলা করতে হয়। এই উচু নিচু রাস্তা দিয়ে হাটাচলা করতে গিয়ে পিচলা খেয়ে পড়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

বিগত দিনের প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ছিল শহরের রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন।

পরে জেলা প্রশাসন বিএমের নাম জায়গা বন্দোবস্ত দিলে ২০১৬-২০১৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়বোর্ড বিএম ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত জায়গায় একটি ভবন নির্মাণ করে দেন। বর্তমানে সে ভবনটি হলো শহরের একদম নিকটে রুপনগর এলাকায়। যেখানে বিএম ইনস্টিটিউট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নির্মিত হয়েছে তার সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম সমস্যা।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি নির্মিত হওয়ার পর হতে প্রতি বছর পাহাড় ধস ও ভারী বর্ষণ হলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে এটাকে ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা নারী পুরুষ ও শিশুরা এই কাচা রাস্তায় পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

এমন কি আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসা প্রশাসনের লোকজন,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা এই রাস্তা দিয়ে গিয়ে পড়ে গেছেন।

বড় দুর্ঘটনার শিকার না হলেও আতংক ভয়ে ছিলেন সবাই।জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ অনেকেই বৃষ্টি বাদল ও ঝুকিপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে ভয়ে ভয়ে ওই সময় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলেন।

এব্যাপারে বিএম ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন,রাস্তার সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বিএম ইনস্টিটিউটের রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

এখানে জেলা পরিষদ আছে, উন্নয়ন বোর্ড আছে বা এলজিইডি দিয়েও রাস্তা করানো যাবে । আগামী মাসে মিটিং আছে তাই বিএম ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষকে বলেন আবেদন দেওয়ার জন্য। আগামী মিটিংয়ে রাস্তার বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
বিএম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে আজ পর্যন্ত সুনামের সহিত পরিচালনা হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি আগে ছিল শহরের রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ী ভাবে প্রতিষ্ঠিত শহরের রুপনগর এলাকায়। প্রতিষ্ঠানের সব কিছু আছে নেই শুধু একটি রাস্তা। রাস্তার অভাবে প্রতিষ্ঠানটি একেবারে কাতর। রাস্তাটি হলে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও অগ্রগতি একধাপ এগিয়ে যাবে। বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রাস্তার ব্যাপারে বেশ কয়েক বার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।আমার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এইচ এসসি(কারিগরি) প্রথম ও দ্বিথীয় বর্ষে প্রায় ৪শ’ ২৪জনের মত শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সকলের প্রাণ দাবি এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হউক।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: