“কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষকঃ শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ বৈশ্বিক অপরিহার্যতা” শীর্ষক প্রতিপাদ্যে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৩ আজ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১১:০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ থেকে এক বর্নাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষণ করে দীপংকর তালুকদার ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি’র মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার । এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা, প্রক্টর ও সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুয়েল সিকদার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ধীমান শর্মা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক নেইংম্রাচিং চৌধুরী ননি, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. সুপ্রিয় চাকমা এবং ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক খোকনেশ্বর ত্রিপুরা এবং রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গৌরব চাকমা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহনা বিশ্বাস। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, শিক্ষকতা একটি মর্যাদাসম্পন্ন পেশা। প্রতিটি মা-বাবার পরেই শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় অভিভাবক হচ্ছেন শিক্ষক। এজন্য মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে শিক্ষকের ভূমিকা সব চেয়ে বেশি। একজন শিক্ষক প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছে একজন গাইডার ও মেন্টর হিসেবে কাজ করেন।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকগণ শিক্ষকের যে সংকট চলছে তার গুরুত্ব তুলে ধরেন । এছাড়া গুণগত শিক্ষা প্রদান ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষকদের যথাযোগ্য সম্মান ও জীবনমান উন্নয়নের ওপর নজর দেয়া উচিত বলেও মনে করেন বক্তারা।