রাঙামাটি রাজবন বিহারে বৃহস্পতিবার বিকালে বেইনঘর উদ্বোধন পঞ্চশীল গ্রহণ ও চড়কায় সুতা কাটার মধ্য দিয়ে রাঙামাটি রাজবন বিহারে শুরু হয়েছে ৪৮ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান।
বেইনঘর উদ্বোধন রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান। চড়কায় সুতা কেটে বেইন বুনন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পাহাড়ের তাঁত শিল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা মুঞ্জুলিখা চাকমা।
বেইনকর্মীদের পঞ্চশীল প্রদান করেন রাজবন বিহারের বিহার অধ্যক্ষ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। দুদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ২৪ ঘন্টার মধ্য তুলা থেকে সুতা তৈরি করে কোমর তাঁতের মাধ্যমে চীবর (রং বস্ত্র) তৈরি করা হবে। যা দান করা হবে শুক্রবার দুপুরে।
এ বছর রাজবন বিহারে ১৯৮ টি বেইনে প্রায় ১ হাজার পাহাড়ি নারী বেইন কর্মী বেইন বুনবেন। অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাতে আয়োজন করা হয়েছে বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শুক্রবার চীবর দানের পাশাপাশি কল্পতুরু, বুদ্ধমূর্তি, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান করা হবে। এ দানে অংশ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ হাজির হয়েছেন রাঙামাটিতে। অনুষ্ঠান দেখতে থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে এসছেন বৌদ্ধ ভিক্ষু। এদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন।
প্রবারণা পুর্নিমার দিন থেকে পরবর্তী ১ মাস পর্যন্ত এ চীবর দান চলে পাহাড়ে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। আগামী ২৮ নভেম্বর এ অনুষ্ঠান শেষ হবে।
তথাগত গৌতম বুদ্ধের সময় ২৪ ঘন্টার তুলা থেকে সুতা তা থেকে কোমর তাদের মাধ্যমে চীবর তৈরি করে বুদ্ধ ও শিষ্য সংঘকে দান করেন বিশাখা নামে এক পূণ্যবতি। ১৯৭৩ সালে রাঙামাটির লংগদুতে পরিনির্বাপিত বনভান্তে সর্বপ্রথম এ রীতিতে কঠিন চীবর দান প্রচলন করেন।