রাঙামাটির কাউখালীর মিতিঙ্গাছড়ি ধর্মগিরি সাধনা কুটিরে ৪ তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল হতে শুরু হওয়া ২৪ ঘন্টায় তুলা থেকে সুতা তৈরি করে কোমর তাঁতের মাধ্যমে তৈরি চীবরটি শনিবার দুপুরে কুটিরের অধ্যক্ষ অর্থদর্শী ভান্তের হাতে চীবর হস্তান্তর করেন পলাশী চাকমা।
এ সময় চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশীষ রায়, সাবেক জজ এড. দীপেন দেওয়ান ভিক্ষুসংঘের উদ্দেশ্য চীবর দান করেন।
দুদিনের চীবর দান উৎসবে কল্পতুরু ও কঠিন চীবর মাথায় নিয়ে নেচে গেয়ে চীবর দানে যোগ দেয় হাজারো পুণ্যার্থী।
চীবর দানে পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধমুর্তি দানসহ নানান দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
চীবর দান অনুষ্ঠানে সংঘ প্রধান হিসেবে ছিলেন রাজস্থলী নাক্যছড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ক্ষেমাচারা মহাস্থবির। চীবর দানে হাজারো পণ্যার্থী ও অর্ধ শতাধিক বুদ্ধ ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন।
পূন্যার্থীদের উদ্দেশ্য পঞ্চশীল প্রদান করেন ক্ষেমাচারা মহাস্থবির। চীবরদানে দেশ ও বিশ্বশান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থণা করা হয়।
উল্লেখ্য আড়াই হাজার বছর আগে তথাগত ভগবান বুদ্ধের আমলে বিশাখা নামে এক বুদ্ধের সেবিকা বুদ্ধের আশির্বাদ পেয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে এই কাপড় বুদ্ধকে দান করেন। এই অনুকরণে ধর্মগিরি সাধনা কুটিরে চীবর দান করা হয়।