পৌষ মাসের আগমনের সাথে সাথে রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় কনকনে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। এতে কষ্ট পাচ্ছিল হত দরিদ্রের মানুষজন।
এসব পরিবার চিহ্নিত করতে জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ স্বয়ং কম্বল নিয়ে বের হচ্ছেন সন্ধ্যা নামার আগে।
নিম্ন আয়ের মানুষ, হত দরিদ্র, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের খোঁজখবর নিতে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন ইউএনও।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বনযোগীছড়া ইউনিয়নের কাংরাছড়ি, রাস্তা মাথা, লেবারপাড়া ও জুরাছড়ি ইউনিয়নের সদর ও যক্ষা বাজারে গিয়ে ৭০ পরিবারের মাঝে শীত বস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।
রাস্তায় শীতের কম্বল পেয়ে বিধবা সোখিনা বেগম (৬৫), রম্বাপুদি চাকমা(৬৬) ইউএনওর সামনে দীর্ঘ শ্বাস পেলে সুস্বাস্থ্যে ও দীর্ঘ আয়ুর জন্য আর্শীবাদ প্রদান করেন।
এদিকে লেবার পাড়ার প্রতিবন্ধী সুজন চাকমা বলেন আমি কম্বল পেয়ে অনেক খুশি, রাতে আর শীতে কাঁপতে হবেনা।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, সরকারে লক্ষ্য হচ্ছে প্রান্তিক ও হত দরিদ্রদের মাঝে যথাযথ ভাবে পৌঁছে দেওয়া। শীতের আগমনের সাথে সাথে হত দরিদ্রদের মাঝে এসব কম্বল দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
বিতরণ কালে রির্সোস সেন্টারের ইন্সেট্রাক্টর মোঃ মরশেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।