শনিবার , ২০ জানুয়ারি ২০২৪ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

লংগদুতে পাহাড় কেটে আওয়ামীলীগের তিন নেতা গড়ে তুলেছেন ইটভাটা

প্রতিবেদক
হিমেল চাকমা, লংগদু থেকে ফিরে।
জানুয়ারি ২০, ২০২৪ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটি রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটারক ছড়া ইউনিয়নে বটতল তিনব্রীজ পাড়ার মাঝে পাহাড় কেটে একটি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন আওয়ামীলীগের ৩ নেতা।

নেতারা হলেন, আটারকছড়ি ইউনিয়র আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, লংগদু যুবলীগের সভাপতি চান মিয়া, লংগদু ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহামেদ।

জিয়াউর রহমান, চান মিয়া এবং ফারুক ইটভাটাটি নিজেদের বলে স্বীকার করেছেন। ফিল্ডের নাম দিয়েছেন কেবিএম ব্রিকস।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে লংগদু সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,মাইনী ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেষা বটতল তিনব্রীজ এলাকায় একটি পাহাড় কেটে এ ইটভাটাটি গড়ে তোলা হয়।

যে পাহাড়ে ইটভাটাটি গড়ে তোলা হয় সে পাহাড়টি আটারকছড়ি ইউনিয়নর সীমানার ভিতরে পড়েছে। আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অজয়মিত্র চাকমা বলেন, ইট ভাটাটি আটারকছড়া ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে।

ইটভাটায় তখনও ইট পোড়া হচ্ছিল। ইটভাটার চারদিকে কাঠের জালানী দেখা গেছে। স্থানীয় একাধিক জনের সাথে হয়। তারা কেউ নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চায়নি। তবে তারা বলেন, আওয়ামীলীগ নেতারা এ ইটভাটা গড়ে তুলেছে। ভাটার স্থানে আগে পাহাড়ি ছিল।  পাহাড় কেটে সমান করা হয়েছে। এ ইটভাটার প্রধান জ্বালানী স্থানীয় বনের কাঠ।

আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অজয় মিত্র চাকমা বলেন, ইটভাটাটি আটারকছড়া ইউনিয়নে গড়ে তোলা হয়েছে এটা ঠিক।  তবে এটি বৈধ কিংবা অবৈধ কিনা সেটা আমি জানি না। ইটভাটা করবেন এটি শুধু মৌখিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে। লিখিত কোন কাগজপত্র নেই।

ইটভাটার অংশীদার চান মিয়া,  আমরা তিনজনে এ ভাটা করেছি। তবে দেরীতে ফিল্ড স্থাপন করায় লোকসানে আছি। ভাটার শ্রমিকরা চলে গেছে। আরো লকসানে পড়তে হবে। ফিল্ডের অবস্থা খুব খারাপ। শাহাজাহান কোম্পানী সঠিকভাবে পরামর্শ দেননি তাই এ অবস্থা।

মো শাহজাহান বলেন, চান মিয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমার বাইট্যা পাড়ার ফিল্ডে উন্নত মানের তৈরি হয়। কিন্তু ফারুক, চান মিয়া, জিয়া মেম্বারের চাপের কারণে আমার ফিল্ড থেকে কেউ ইট কিনেন না। তাদের ইটভাটা থেকে ইট কিনতে ঠিকাদারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমার ফিল্ডে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু তাদের ওখানে কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।

ভাটার আরেক অংশীদার জিয়াউর রহমান বলেন, ইটভাটাটি এ বছর করেছি। স্থানীয় কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ইট প্রয়োজন হয়। বাইরে থেকে ইট আনলে লোকসান হয়। ফিল্ডটা এত বড় নয়। এ বছর ভালভাবে করতে পারিনি। সামনে বছর হয়ত কিছু কাজ করতে পারব। অনুমতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জিয়াউর রহমান বলেন আমি রাঙামাটি আসলে আপনার সাথে দেখা করব।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় ৪টি ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অংকের জরিমানা করে  উপজেলা প্রশাসন। তবে বটতল তিন ব্রীজে ইটভাটা বিষয়ে কোন তথ্য নেই উপজেলা প্রশাসনের কাছে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা ভূমি অফিসের কমিশনার মো: মাসুদ রানা বলেন, এ ইটভাটা বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য আপাতত নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।

সর্বশেষ  ২০১৩ সালে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ এ বলা আছে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে, কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করিতে পারিবেন না।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, তিনদিন আগে আমি সকল ইউএনওকে চিঠি লিখেছি যেসব উপজেলায় ইটভাটার কোন বৈধতা নেই সেগুলোর বিষয়ে ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণের চিঠি দিয়েছি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: