গত ২-৩দিন ধরে রাঙামাটিতে প্রচন্ড তাপ প্রবাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই গরমে অস্থির এখানকার জনজীবন। হাট-বাজার,দোকানপাট ও অফিস আদালতে গরমে জনজীবন মানুষ। ঘর থেকে বের হতে না হতেই এখানকার লোকজন ঠান্ডায় চলে যেতে চায়। কেউ কেউ কেউ স্বস্তি পেতে ফ্যানের বাতাস খুজে। তাপ প্রবাহের জন্য অনেকেই ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
রবিবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরের মধ্যে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক জেলা তথ্য অফিস হিট স্ট্রোক সংক্রান্ত বিষয়ের উপর সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। অপর দিকে শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে জারিকৃত আদেশ মূলে তাপ প্রবাহের কারনে রবিবার থেকে ৭ দিনের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়,মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রাঙামাটি শহরের নিউ মার্কেট সংলগ্ন কালিন্দীপুর সড়কে জৈনক বিকাশ দোকানদার মোঃ রাকিব হোসেন জানান, তাপ প্রবাহের কারনে সে একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা পানিতে গামছা ভিজিয়ে গায়ে পড়ে আছেন। তার পরে তার কাছে তাপ প্রবাহ অনুভূতি হচ্ছে। প্রচন্ডে গরমে সে কাতড় হয়ে পড়েছে। এভাবে অনেক ব্যবসায়িই গরমের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে না।
হোটেল ড্রিমল্যান্ডের ম্যানেজার মোঃ মোবারক হোসেন বলেন,এই গরমে ও তাপ প্রবাহে অস্থির অন্য দিকে বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের সমস্যা আমরা জর্জরিত। বিদ্যুৎ ঠিকমত না থাকায় আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যে চরম ভাবে সমস্যা হচ্ছে। তাপ প্রবাহের কারনে লোকজন তেমন বের হচ্ছে না। তাই আমাদের ব্যবসাও কমে গেছে।
রাঙামাটি আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ক্যাসনো মারমা বলেন,গত ২দিন ধরে স্থানীয় ভাবে তাপমাত্র ৩৭-৩৮ডিগ্রি মাত্রায় অতিবাহিত হচ্ছে। আরো ৩-৪ দিন ধরে এভাবে তাপ মাত্রা পড়তে পারে,তাপমাত্রা বৃদ্ধিও হতে পারে। সারা দেশেই হিট স্ট্রোক এর মত গরম প্রবাহ অতিবাহিত করছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড তাপ প্রবাহ লক্ষ করা যাচ্ছে। মানুষ গরমে অস্থির হয়ে গেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্র বেড়ে গেছে। তাপ প্রবাহে মানুষ অস্থিরতা অনুভাব করছে। গরমে অনেকের রোগ বালাই দেখা দিচ্ছে। রবিবার সকাল হতে শহরের মধ্যে হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কি কি করণীয় তা মাইকিং করে জনগণকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।