রাজনগর ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিজিবি) এর উদ্যোগে স্থানীয় ০৬টি টিমের সমন্বয়ে জোন সদর সংলগ্ন মাঠে রাজনগর জোন কাপ ভলিবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর আয়োজন করা হয়। গত ০৭ মে ২০২৫ তারিখ বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডার কর্তৃক খেলার উদ্বোধনী ঘোষণার মাধ্যমে টুর্নামেন্ট শুরু করা হয়েছে। এ সময় পাহাড়ী-বাঙ্গালীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো ক্রীড়ামোদি দর্শক প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।
০৬টি টিমের মধ্যে পূর্ব রাঙ্গীপাড়া এবং সর্বাতলী বয়েজ ক্লাব ফাইনালে উপনীত হয়। অদ্য ১৫ মে ২০২৫ তারিখ টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় সর্বাতলী বয়েজ ক্লাব ০২-০০ সেটে পূর্ব রাঙ্গীপাড়াকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডার উপস্থিত থেকে ফাইনাল খেলাটি উপভোগ করেন। খেলা শেষে তিনি চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে ট্রফি প্রদান, টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়কে ক্রেস্ট প্রদান এবং উভয় দলের খেলোয়াড়দের মাঝে মেডেল বিতরণ করেন।
ফাইনাল খেলাটিতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন, গণমাধ্যম কর্মী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ক্রীড়ামোদি সহস্রাধিক পাহাড়ি-বাঙালি দর্শকের সমাগম ঘটে। পুরস্কার প্রদান শেষে প্রধান অতিথি খেলোয়াড়দের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
রাজনগর জোন কমান্ডার বলেন, সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন এই উদ্দীপনাকে ধারণ করে বিজিবি রাজনগর জোন পাহাড়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য নানাবিধ সামাজিক কর্মকান্ড অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পরিচালনা করে যাচ্ছে। তন্মধ্যে, উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন, শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণ, হতদরিদ্র ও অসুস্থ্য ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ প্রদান এবং বেকারত্ব দূরীকরণে সেলাই মেশিন বিতরণ ইত্যাদি। রাজনগর জোন কর্তৃক এ সকল সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনায় স্থানীয় পর্যায়ে পাহাড়ী ও বাঙ্গালী নাগরিকদের জীবন যাত্রার মানকে স্বাভাবিক করতে সহায়তা করেছে। খেলাধুলা মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে, মাদকাসক্তি থেকে যুব সমাজকে দেয় মুক্তি এবং সর্বোপরি প্রতিবেশীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব বৃদ্ধি করে। তাই যুব সমাজকে মাদক হতে রক্ষায়, ভলিবল খেলাকে এগিয়ে নিতে এবং পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মাঝে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষে রাজনগর জোন কর্তৃক এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।