রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ লংগদু সরকারি মডেল কলেজের জায়গা দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে আন্দোলন করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যানার ফেস্টুন সহ আন্দোলন রত শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল শুরু করে দখলদারদের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় এবং দখলদারদের বাড়ি ছাড়ার আহ্বান জানায়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে দখলদারদের বাড়িতে আক্রমণ করলে,পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোন।
সেনাবাহিনী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও কলেজ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা ক্লাসে ফিরে যান বিষয়টি আইনগত ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে লংগদু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অদ্যক্ষ আজগর আলী বলেন, জায়গা গুলো কলেজের তবে দখলদারদের বার বার মৌখিক ভাবে বল্লেও তারা বাসা ছাড়েনি ফলে আজ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন।
জায়গায় বসবাস কারী অভিযুক্ত শাহাদাৎ হোসেন শিপু বলেন,এই জায়গার ক্রয় সুত্রে মালিক আমি যার ডকুমেন্টসও আমার কাছে রয়েছে। তবে আমার ধারণা ছিলো বিষয়টি আইনগত ভাবে দেখা হবে কিন্তু আজ শিক্ষার্থীরা আমার বাসায় অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় এতে আমার বেশ ক্ষতি সাধন হয়।
অন্য আরেকজন বসবাসকারী সুলতান আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০০৩ সাল থেকে খাস জায়গাতে আমি বসবাস শুরু করি, ঐসময় আমাকে ঘর বানানোর জন্য রাবেতা কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দেয়। যা পরবর্তীতে আমার বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া খাস জায়গার উপর আমি বন্দোবস্তি পেয়ারের জন্য আবেদন করলে আমাকে ভূমি অফিস থেকে এটি ডকেট নাম্বার দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে কোনরকম নোটিশ বা ফোজদারী মামলা না দিয়ে সরাসরি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আনন্দোলনের নামে আমাকে আলটিমেটাম দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এখন বাসা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছি। যা আমার উপর জুলুম করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ বিগত (১ সেপ্টেম্বর) কলেজের দখল কৃত জায়গা উদ্ধারের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও কলেজের ছাত্রসমাজের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ছিলো যা গুরুত্ব পায়নি দখলদারদের নিকট।