বুধবার , ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটি সরকারি গ্রন্থগারে বইপত্র সবই আছে নেই পাঠক

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
জানুয়ারি ২২, ২০২৫ ৪:৩০ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি সরকারি গ্রন্থগার যেনো লুকিয়ে রাখা হয়েছে! বইপত্র সবই আছে, নেই পাঠক। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১৩ সালে শহর থেকে একটু দূরে গাঁও গ্রাম ভেদভেদি নামক এলাকায় ৩৩ শত জমির উপর এই সরকারি গ্রন্থগার ভবনটি স্থাপন করা হয়। অপরিকল্পিত ভাবে জায়গা ক্রয় করে শহর থেকে দূরে সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালিন সময়ের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা ও বৃষ কেতু চাকমা অসৎ উদ্দেশ্যে এই গ্রন্থগারটি জনশূন্য এলাকায় স্থাপন করে। ২০১৩ সালের আগে এই গ্রস্থগারটি শহরের কালিন্দীপুর সড়ক নামতে বাজার ফান্ডের নিচতলায় ছিল।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরবাসী অনেকেই জানে না সরকারি গন্থগার কোথায় অবস্থিত। জেলা সরকারি পাঠাগার গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্ত এই প্রতিষ্ঠান এমন জায়গায় স্থাপিত হয়েছে পাঠকেরা খোঁজেও পাচ্ছেন না। পাঠকদের জন্য প্রায় ৩৭ হাজার বই রয়েছে এই গ্রন্থগারে। কিন্তু মানব শূন্য এলাকা হওয়ায় পাঠাগারটিতে পাঠক শূন্য। বর্তমানে পাঠাগারটি যেখানে আছে সেখানে বই পড়ার পরিবেশও নেই। সন্ধ্যার পর ভয়ে ওই এলাকায় লোকজন তেমন যায় না। সন্ধ্যার পর চাঁদাবাজদের আড্ডা ওই এলাকায়। তাই ভয়েও কেউ ওই এলাকায় যেতে চায়না। পাঠকেরা শহরের মধ্যে চায় এই সরকারি গন্থগারটি।

গত ১৯ জানুয়ারি রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রন্থগারের উপজাতি ২জন স্টাফ চেয়ার নিয়ে রৌদ্রে বসে আছে। একটু পরে চেয়ার থেকে সরে পড়ে এই ২স্টাফ। পরে দেখা মিলে গ্রন্থগারের দায়িত্বে থাকা ইনচার্জ লাইব্রেরিয়ান সুনীলময় চাকমার। গ্রন্থগার সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য দিলেন সুনীলময় চাকমা। জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, বৃষকেতু চাকমা ও অংসুইপ্রু চৌধুরী সম্পর্কেও অনেক যুক্তি তর্ক দিয়ে কথোপকথন শুনালেন এই প্রতিবেদককে। তিনিও বললেন, গ্রন্থগারটিতে যা যা থাকার কথা সবই আছে কিন্তু নেই বই পড়ার পাঠক। তার কারন একটাই গ্রন্থগারটি জনসমুদ্রের মধ্যে পড়েনি। গ্রন্থগারটি শহরের এককোণে অবস্থিত হওয়ার কারনে পাঠক শূন্য।

ভেদভেদিস্থ সরকারি গ্রন্থগারের দায়িত্বে থাকা লাইব্রেরিয়ান সুনীলময় চাকমা বলেন, গ্রন্থগারের মূল সমস্যা সমূহ হলো প্রচারনার অভাব, গ্রন্থগারটি শহরের মধ্যে হলে ভাল হতো। বইয়ের শ্রেণি বিন্যাসের অভাব। ইনটারনেট ও মোবাইলের যুগ হওয়াতে পাঠকের সংখ্যা কমে গেছে। এই গ্রন্থগারে প্রায় ৩৭ হাজার বই পড়ে আছে কিন্তু পড়ার মানুষ নাই। দূরবর্তী পাঠকও নাই। পুরাতন কিছু লোকজন পেপার পড়তে আসে। এছাড়াও জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো, যুগান্তর, কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক সমকাল, দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক ইত্তেফাক, ডেইলি স্টার ও আঞ্চলিক দৈনিক পূর্বকোণ। জাতীয় পত্রিকা ৯টি ও আঞ্চলিক পত্রিকা ১টিসহ মোট-১০পত্রিকা প্রতিদিন রাখা হয়। এছাড়াও টিভি দেখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যদিও তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, দৈনিক ৫০-৬০ জন পাঠক বই ও পত্রিকা পড়তে আসে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি তাও শিকার করেন যে, এখন মোবাইলের যুগ তাই মানুষ আর পেপার পত্রিকা ও বই পড়ে না। তবে স্থানীয় কিছু শিক্ষার্থী স্কুলের সময় গ্রন্থগারে বই পুস্তক পড়তে আসে।

সরকারি গ্রন্থগারটি নিয়ে স্থানীয়দের অভিমত, শহর থেকে অনেক দূরে গাঁ গ্রামে ভেদভেদি নামক স্থানে এক কোণায় সরকারি এই গ্রন্থগারটি স্থাপিত হওয়ায় পাঠক সংখ্যা শূন্য। অনেকেই জানে না এই গ্রন্থগারটি কোথায়। গ্রন্থগারটি হওয়া উচিৎ ছিল শহরের মধ্যে কিন্তু সেটি হয়েছে, শহর থেকে অনেক দূরে। যার কারনে গ্রন্থগারের সাথে পাঠকদের কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের দাবি এই গ্রন্থগারটি শহরের মধ্যখানে হলে গ্রন্থগারের সুফল পাবে স্থানীয় জনগণ ও পাঠকেরা। পরিকল্পনার অভাবে গ্রন্থগারের আজ এই পরিনতি হয়েছে। জেলা পরিষদ বিশাল অংকের টাকা অপচয় করেছে। জেলা পরিষদের এধরনে অপরিকল্পিত অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যা এখন পতিত অবস্থায় পড়ে আছে।

সূত্রে জানা গেছে, লাইব্রেরিয়ান সুনীলময় চাকমাসহ এখানে ৬জন কর্মচারি রয়েছে। তার মধ্যে সহকারী লাইব্রেরিয়ান ট্রিংকো দে প্রেষণে চট্টগ্রাম আছেন তবে তার বেতন হয় এখান থেকে। বাকি ৫জন এই গ্রন্থগারে কর্মরত আছেন। তারা হলেন- লাইব্রেরি সহকারী অমর বিকাশ চাকমা, বুক সটার রিতা দেওয়ান, নাইটগার্ড পূর্ণ্যলাল চাকমা ও ঝাড়–দার মিটু চাকমা। এখানে জনবল থাকার কথা ১০জন এখন আছেন ৫জন। তবে এই ৫জনেরও তেমন কোন কাজকর্ম নেই বললেই চলে। যেহেতু জেলা পরিষদেও অধীনে এই সরকারি গ্রন্থগারটি তাই এব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

নানিয়ারচরে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা

সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে দীঘিনালায় উঠান বৈঠক

মগবানে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী  

না ফেরার দেশে বান্দরবান পৌর মেয়র ইসলাম বেবী

রাঙামাটির দুর্গম সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকায় বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ

কাপ্তাইয়ের চিৎমরম বৌদ্ধবিহারের বিভিন্ন  উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন -পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর পূর্তিতে বিলাইছড়িতে সেনাবাহিনীর প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে দুই একর গাঁজা খেত ধ্বংস

বৌদ্ধ ভিক্ষু উ: জুওয়ানা’র দাহক্রিয়ায় হাজারো মানুষ

বছর বিদায়-বরণে মুখরিত কাপ্তাই, পর্যটনে নতুন হাওয়া

%d bloggers like this: