সোমবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটির মিনি চিড়িয়াখানার পশুপাখি হস্তান্তর, দীর্ঘ ২৩ বছরের অবহেলার অবসান

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫ ৬:২৩ অপরাহ্ণ

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগের কাছাকাছি সময় অবহেলা ও অযত্নে পড়ে থাকার পর রাঙামাটির সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত মিনি চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো অবশেষে অন্যত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১টি ভাল্লুক, ১টি মায়া হরিণ, ২টি সজারু, ৪টি বানর, ৪টি কচ্ছপ ও ৫টি বনমোরগসহ মোট ১৭টি প্রাণীকে কক্সবাজারের দুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য।

জানা যায়, রাঙামাটি জেলা পরিষদের অধীনে ২০০২ সালে সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা। তবে চিড়িয়াখানাটির জন্য বন্যপ্রাণী বিভাগের কোনো অনুমোদন ছিল না। তারপরও এটি রাঙামাটির বাসিন্দাদের জন্য একটি বিনোদনের স্থান হয়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রশিক্ষিত জনবল না থাকা এবং যথাযথ পরিচর্যার অভাবে এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে ছিল।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, চিড়িয়াখানায় থাকা প্রাণীগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় এনে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল অবস্থায় ছিল। ফলে প্রাণীগুলোর কল্যাণ নিশ্চিত করতে কক্সবাজারের দুলাহাজারা সাফারি পার্কেই তাদের স্থানান্তর করা হয়।

চট্রগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, আমরা রাঙামাটি জেলা পরিষদের আওতাধীন বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা থেকে ১টি করে ভাল্লুক ও মায়া হরিণ, ২টি সজারু, ৪টি করে বানর ও কচ্ছপ এবং ৫টি বনমোরগসহ মোট ১৭টি প্রাণী গ্রহণ করি। এগুলো আমরা প্রথমে কক্সবাজারের দুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে যাবো। সেখানে যথাযথ কোয়ারেন্টাইন শেষে পার্কের ব্যাষ্টনিতে রাখা হবে।

এদিকে, স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, রাঙামাটিতে যদি এই চিড়িয়াখানার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো, তবে এটি পর্যটনের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠতে পারতো।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: