রাঙামাটি জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের বিএনপি’র সদস্য মোঃ লিটন ও ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলীকে দল থেকে বহিস্কার করেছেন ভূষণছড়া ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার মোল্লা। এই বহিস্কার নিয়ে গোটা বরকল উপজেলায় প্রতিবাদ ও সমালোচনার ষড় বইছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বহিস্কৃত নেতা মোঃ লিটন ও মোঃ আলী বলেন, আমরা রাতের আধাঁরে লুট হয়ে যাওয়া তামাকের পাতাসহ তিন চোরকে ধরি এবং তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। ভূষণছড়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার মোল্লা ও বরকল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মালেকের সিন্ডিকেটের ঘনিষ্ট লোক হওয়ায় চুরির বিচার সমাধান করবে বলে ২০হাজার টাকা জরিমানা করে তারা। তিন দিন পরে ওই ২০হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হাসান তাদের কাছে টাকা চাইতে গেলে ওই টাকা দেবে না বলে জানান তারা। আরো বলে তুমি তোমার টাকা কিভাবে উদ্বার করে নিবে তা নিয়ে নাও। এঘটনার প্রকৃত কারন এবং টাকার বিষয়টি অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সবাইকে বিষয়টি অবগত করার পর অন্যায়ভাবে বহিস্কার করে। ভূষণছড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক উপজেলা যুদলের আহবায়ক মালেক ও সাধারণ আমাদের উপর ক্ষীপ্ত কোন সতর্কতা বা নোটিশ ছাড়াই অন্যায়ভাবে আমাদেরকে বহিস্কার করেছে।
এবিয়য়ে জেলা যুবদলের সদস্য ও বরকল উপজেলার যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, ভূষণছড়া ইউনিয়নের ২ সদস্যকে কি কারনে বহিস্কার করা হয়েছে তা আমি জানিনা। তবে আমার জানামতে তামাক পাতা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ করায় তাদেরকে বহিস্কার করা হয়েছে। আমার জানামতে তারা কোন প্রকার অন্যায়ের সাথে জড়িত ছিল না। বিগত দিনে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তারা নির্যাতিকত কর্মী ছিল। আমি এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত বহিস্কারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।