পাহাড়ি জনপদের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে শিক্ষায় এগিয়ে চলার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বান্দরবান জেলার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ থেকে এবছরও ২৫ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২৫ জন শিক্ষার্থী দেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারি মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়।
এই ২৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জন চান্স পেয়েছেন সরকারি মেডিকেল কলেজে। এই চারজন হলেন— প্রমংউ মার্মা (জামালপুর মেডিকেল কলেজ), মীন বিকাশ ত্রিপুরা, উত্তম ত্রিপুরা এবং সুষময় তঞ্চংগ্যা (রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ)।
ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে তিনজন। তারা হলো— কুষাই ম্রো, উথোয়াইঞ চাক এবং মাংরুম ম্রো (চুয়েট)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে চান্স পেয়েছে তৌওসিফ বিন নাসের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে ৭ জন শিক্ষার্থী। এরা হলো— জেবেদায় বম, রুবাইয়া সুলতানা, ক্যাজসিং মার্মা, অমরকান্তি চাকমা, অমরজ্যোতি চাকমা, মতন ত্রিপুরা এবং আরিফ হোসেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে ৪ জন। তারা হলো— আবুল হোসেন সূর্য্য, দেনওয়াই ম্রো, বাদশা ফয়সাল ও মেনক ম্রো।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে দুইজন। তারা হলো— মংএচিং মার্মা এবং অরবিল চাকমা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে দীপন স্লো ও মাংপং স্রো।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে দেববর চাকমা।
এছাড়া আরও তিনজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে। এদের মধ্যে থংইং খুমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, মো. সাহাব উদ্দিন ও ভূবন চাকমা গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে।
সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী প্রমংউ মার্মা বলেন, “কোয়ান্টামে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। কোয়ান্টামের কারণেই সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে পেরেছি।”
এবারের ফলাফলসহ কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ থেকে এপর্যন্ত আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী দেশের সরকারি মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানটি পাহাড়ের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। এখান থেকেই শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখছে “ভালো মানুষ, ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ” গঠনের