কোন রকম যাচাই বাছাই ছাড়াই অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের আদেশে নিয়োযুক্ত ও অভিযুক্ত প্রণতি রঞ্জণ খীসা, রাঙাবি তঞ্চঙ্গা রাঙামাটি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে হাইকোর্টের নোটিশ।
সূত্রে জানা যায়, আদালতের আদেশ না মানার অভিযোগ তুলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৪ সদস্য, প্রধান মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার রেজাউল করিম, বরখাস্তকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা বিরল বড়ুয়া এবং নির্বাহী কর্মকর্তা শিবলি নোমাননের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জেলার স্থায়ী চার বাসিন্দার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ সুলতান উদ্দিন গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রারী ডাকযোগে ওইসব নোটিশ পাঠান।
পরিষদের দুই সদস্যের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও পরিষদ সভায় তাঁদের উপস্থিতি ও তাঁদের নিয়ে সভা করা এবং আদালতের আদেশের লঙ্ঘন ও অবাধ্যতা বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশের ভাষ্য, উল্লেখিত অভিযোগের জন্য তাঁদের (নোটিশগ্রহীতাদের) বিরুদ্ধে আইন অনুসারে আদালত অবমাননার আবেদন করা হবে।
জানা যায়, প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩ মার্চ হাইকোর্টে রুলসহ আদেশ দেন। পরিষদের দু’জন সদস্যের কার্যক্রম পরিচালনায় তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা হলেন- মার্ডার মামলার আসামী প্রণতি রঞ্জন খীসা এবং তথ্য গোপন রাখা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সদস্য পদ নেয়া রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা। কাগজে-কলমে রাঙাবি চাকমা কিন্তু সদস্য হওয়ার জন্য রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে সে তথ্য গোপন ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
নোটিশদাতাদের আইনজীবীর তথ্য অনুসারে জানা গেছে , হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন, রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা। শুনানির পর গত ২১ এপ্রিল চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন। পরে আরও কিছু তথ্যসহ দ্রুত শুনানির জন্য গত ২২ মে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা। আপিল বিভাগ ২ জুন লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে রিটটি (চার ব্যক্তির করা) এক মাসের মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।
নোটিশদাতা চার ব্যক্তির আইনজীবী মোঃ সুলতান উদ্দিন বলেন, ‘হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ও “নো অর্ডার” বিষয়ে জানার পরও ওই দুই সদস্য (প্রণতি রঞ্জন খীসা ও রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা) অপর সদস্যদের সঙ্গে গত ৫ ও ১৩ মে পরিষদের সভায় বসে মিটিং করেন এবং পরিষদের চেয়ারম্যানের আহ্বানে প্রধান মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও নির্বাহী কর্মকর্তা সভার আয়োজন করেন। যা হাইকোর্টের গত ৯ মার্চ এবং আপিল বিভাগের গত ২১ এপ্রিল ও ২ জুন দেওয়া আদেশ লঙ্ঘন ও আদেশের প্রতি অবাধ্যতা। তাই আদালত অবমাননার অভিযোগে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৪ সদস্যসহ ১৮ জনের প্রতি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’
এব্যাপারে মুঠোফোনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার ও মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার রেজাউল করিমের কাছ থেকে জানতে তারা বলেন,আমরা এখনো হাইকোর্টের নোটিশ হাতে পাইনি। নোটিশ পেলে গৃহীত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।