একটি গুপ্ত সংগঠন আর নতুন বন্দোবস্ত নেতাদের আওয়াজ ও মতিগতি প্রমাণ করছে যে গত ১৫ বছর ধরে তারা ফ্যাসিষ্টদের সহযোগী ছিলো। ফ্যারিষ্টরা তাদের আচরণের ফলে রাতে আধাঁরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে ভালো হোক কিংবা মন্দ হোক বড় একটি সংগঠন তাদের পেছনে ছিল। কিন্তু আপনাদের তো বউ-বাচ্চাও নেই। কথা-বর্তা আপনাদের জায়গায় আমি হলে অন্তত সংযোত অবস্থায় বলতাম। আমরা যারা নেতৃত্ব অবস্থানে আছি আমরা বাধ্য হচ্ছে ধৈর্য, সংযোম ও সংজোত হতে। কিন্তু তারেক রহমানকে নিয়ে নোংরামির ফলে বাংলাদেশে সাধারণ যারা আছে তাদেকে সংযোত রাখতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) রাঙামাটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আরো বলেন, বিএনপির নতুন সদস্য করার ক্ষেত্রে যেনো ফ্যাসিষ্ট ও তাদের দোসদের থেকে সদস্য করা না হয়। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক জিয়ার নির্দেশনায় ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে ও বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি কোন খারাপ কাজে লিপ্ত না হয় তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৭০ আসন নিশ্চিত পাবে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, এনসিপি ও জামায়াতে শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নামে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তারা দেশে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে বিএনপি তিলে তিলে গড়ে উঠা দল। বিগত ১৫ বছরেও ফ্যাসিস্টরা বিএনপিকে নিঃশেষ করতে পারিনি। তারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সর্বদা আন্দোলন করে গেছে। তখন আপনারা কোথায় ছিলেন! তখন তো আপনারা ওই ফ্যাসিস্টের সহযোগী হয়ে কাজ করেছেন। তাদের দলের হয়ে কাজ করেছেন।
জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত সভায় বক্তব্যে দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, সাবেক সাংসদ ও উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ মুন্ন প্রমুখ। সভা শেষে নেতৃবৃন্দ জেলা বিএনপির নতুন সদস্যদের মাঝে সদস্যর কার্ড প্রদান করা হয়।