অনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে রাঙামাটির আবাসিক হোটেল মেহেদীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকালে শহরের মৎস্য কর্পোরেশন বিএফডিসি’র সামনে আবাসিক হোটেল মেহেদীর মালিক আবুল কালামকে জেলা প্রশাশনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিন্ট্রেট সৈয়দা মমতাজ টুকু এই জরিমানা করেন। একইসাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ২ যুবককে আটক করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে আবাসিক হোটেল মেহেদী দীর্ঘ দিন ধরে বাহির থেকে কিশোর-কিশোরী এনে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতো।
নির্বাহী ম্যাজিন্ট্রেট সৈয়দা মমতাজ টুকু বলেন, জেলা প্রশাসনের রুটিন মাপিক কাজ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা। সে সুবাদে আবাসিক হোটেল মেহেদীতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। হোটেল মেহেদীর দ্বিতীয় তলার ৩০৫ নম্বর কক্ষে মাদক সেবন কালে ২ যুবক ও এক কিশোরীকে হাতে নাতে ধরা পড়েছে। এসময় ২ যুবককে আটক করি। আর কিশোরীকে সর্তক করে ছেড়ে দেই। পরে ২ যুবককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কোতয়ালী থানায় প্রেরণ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- রাঙামাটি লংগদু উপজেলার মাইনীমূখ এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ খোকন (৩৪) ও একই এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে মোঃ জলিল (৩৫)। তারা দুই জনেই অনৈতিক ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিল। বুধবার সকালে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা বলে জানা গেছে।
রাঙামাটির মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আবাসিক হোটেল মেহেদীতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় হোটেলের ৩০৫ নম্বার কক্ষ হতে ২ যুবক ও এক কিশোরীসহ কিছু মাদকদ্রব্য উদ্বার করা হয়। তাৎক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা মমতাজ টুকু কিশোরীকে ছেড়ে দেয় এবং ২ যুবককে আটক করে। পরে আমরা এই ২ যুবককে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করে মাদকদ্রব্য মামলা রুজু করি।
তিনি আরো বলেন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আবাসিক হোটেল মেহেদী দীর্ঘ দিন ধরে বাহির থেকে কিশোর-কিশোরী এনে অসামাজিক কার্যকলাপ চালায়। এসব অসামাজিক কার্যকলাপের মূলহোতা হোটেল বয় আনোয়ার বলে জানা গেছে। তবে এর দায়-ভার হোটেল মালিক পক্ষ কোন ভাবেই এড়াতে পারে না। মাদকের বিরুদ্বে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, হোটেল মালিক আবুল কালাম তার হোটেলের বয় আনোয়ারকে দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ এই হোটেলে বর্ডার ভাড়া দেওয়ার নাম করে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। আমরা প্রতিদিন সকালে দেখি কিছু মেয়ে বোরকা পড়ে আসে আবার ১-২দিন পরে চলে যায়। কিন্তু এখন ধরা পড়াতে জানতে পারলাম এখানে ২ নাম্বারী ব্যবসা চলে।