রবিবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

ঈদগাঁওয়ে ৩ কোটি টাকা পরিশোধ না করে লাপাত্তা লবণ মিল মালিক

প্রতিবেদক
সেলিম উদ্দীন, কক্সবাজার
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের লবণ শিল্পনগরী ইসলামপুরে ডজনাধিক ব্যবসায়ীদের পাওনা প্রায় ৩ কোটি টাকা পরিশোধ না করে মক্কা ও শাহ জব্বারিয়া সল্ট ক্রাশিং ইন্ডাট্রিজের মালিক কামাল উদ্দিন লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এমনতর অভিযোগে কামাল ও তার দু’পুত্রের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মনছুর আলম সওদাগরসহ প্রায় ডজনাধিক ব্যবসায়ী। গত ২২ আগষ্ট অভিযোগটি করলেও বিষয়টি নিয়ে গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বরে) সন্ধ্যায় ইসলামপুর বাজারে সাংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।

অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে কামাল উদ্দিন (৬৮) তার দু’পুত্র আদনান কামাল (২৫) ও আছাদুল হক (২৮)।প্রতারিত ব্যবসায়ীরা হলেন ইসলামপুর ইউনিয়নের ধর্মেরছড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র মনছুর আলম সওদাগর(৫০), মৃত ভুলু মিয়ার পুত্র জয়নাল আবেদীন (৪৮), খাঁনঘোনা গ্রামের মৃত মোকতার আহমদের পুত্র বেলাল উদ্দিন (৪৫), হাবিবুর রহমানের পুত্র মিন্টু (৪২), মৃত হাজী আবুল বশরের পুত্র দিদারুল ইসলাম সাগর (৩৭), মৃত ছৈয়দ নুরের পুত্র ছৈয়দ এমরান হাসান রাশেদ(৩১), নাপিতখালীর ইছমাইলের পুত্র আলী আকবর (৩৪), হাজি পাড়া গ্রামের মৃত ইলিয়াস মাঝির পুত্র ইউছুফ আলী মাঝি (৫০), ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ পালাকাটা গ্রামের রিয়াদ মুর্শেদ(৩১), ইসলামাবাদ টেকপাড়া গ্রামের মৃত আবুল আহমদের পুত্র মহি উদ্দিন (৪২), চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী

মেধাকচ্ছপিয়ার মৃত হাজী আবদু জব্বারের পুত্র শাহ আলম(৫০), একই ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি গ্রামের মৃত হাজী নজু মিয়ার পুত্র এনামুল হক (৩৩), মৃত মাষ্টার সিরাজুল ইসলামের পুত্র ইমরান খাঁন আনার (৩৭) ও ফরেস্ট অফিসপাড়া গ্রামের মনজুর আলম সওদাগরের পুত্র সাজ্জাদুল করিম (৩১)।

অভিযোগ ও সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ব্যবসার সুবাদে কামাল ও তার পুত্রের সঙ্গে ঐ ব্যবসায়ীদের পরিচয় হয়। তারা সকলে লবণের আড়তদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন মক্কা ও শাহ জব্বারিয়া সল্টে ভুক্তভোগীরা  বিভিন্ন সময় পাইকারি দরে কাঁচা লবণ সরবরাহ এমনকি মৌসুমের সময় গুদামজাতও করে আসছিল। তবে লেনদেনকালে মিল মালিকের দেয়া ব্যাংক চেক, লিখিত ষ্ট্যাম্প ছাড়াও মিলের ভাউচার ইত্যাদি তাদের রয়েছে। বিগত সময়ে কামাল উদ্দিন ও তার ছেলে আদনান কামাল পাইকারি দরে মাঠের লবণ ক্রয় ও সরবরাহ করার কথা বলে গত কয়েক বছরে ধাপে ধাপে ঐসব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নগদ-বাকিতে লবণ ক্রয় করে। একপর্যায়ে মিল মালিক দেউলিয়ার পথে বসলে সুকৌশলে সমস্ত লবণ বিক্রি করে গা ঢাকা দেয়।

বিষয়টি স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার আবদুল কাদেরকে জানানো হয়। পরে তিনি সময় চেয়েও কোন সুরাহা করতে পারেননি। উল্টো তারা মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছেন। গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসায়ীরা নিয়মিত মালামাল সরবরাহের পর টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও কামাল ও তার ছেলে সম্প্রতি সময়ে মিলকারখানা বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এমনকি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানা গেছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মাষ্টার আবদুল কাদের বলেন, ব্যবসায়ীদের কোটি টাকা পরিশোধ না করে নানা ছলচাতুরী শুরু করেছে কামাল। এমনকি আত্মগোপনে থেকে মিল বিক্রির পাঁয়তারা করছেন। অভিযোগকারী মনছুর আলম সওদাগর বলেন, কোনোভাবেই কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করি। কামাল  শুধু এই কয়জন নয়, আরও কজন ব্যবসায়ীর টাকা না পালিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত কামাল উদ্দিন বলেন, নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি বিধায় লবণ মিল বিক্রি করে দিয়েছে। যারা মিল থেকে টাকা পাবেন তাদেরকে ক্রয়কৃত মালিকের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মুলতঃ আমি জালিয়াতির শিকার। যার কারনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ঈদগাঁও থানার ওসি মোঃ মছিউর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
error: Content is protected !!
%d bloggers like this: