রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে প্রতিবন্ধী মারমা নারীকে গণধর্ষণের বিচারের দাবিতে ও স্হানীয় কার্বারীদের প্রথাগত বিচারের নামে ধামাচাপা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ-পিসিসিপি। সমাবেশে এই ঘটনাকে পাহাড়ে সামাজিক বিচারের নামে নারীর প্রতি সহিংসতার এক ভয়াবহ উদাহরণ এবং অপরাধীদের অর্থদণ্ড দিয়ে দায়মুক্তি দেওয়া বিচারব্যবস্থা নয়, বরং অবিচার-বলে দাবি করা হয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর) বিকালে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এ কর্মসুচি পালন করে সংগঠনটি। সমাবেশে ভিকটিমের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও তিন ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন, পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন- রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চংড়াছড়ি মুখ এলাকায় তিন মারমা যুবকের ধর্ষণের শিকার এক প্রতিবন্ধী মারমা নারী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ১৭ অক্টোবর স্থানীয় কার্বারীরা প্রথাগত রীতিতে কথিত বিচারে অর্থদন্ড দেয়া হয়। এতে ধর্ষকদের তিন লাখ টাকা, শুকর ক্রয়ে অতিরিক্ত ৩০ হাজার এবং নির্যাতিত নারীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা প্রচলিত আইনের চরম লংঘন। অথচ প্রভাবশালী আঞ্চলিক দল জেএসএস ওই নারীকে আইনের আশ্রয় নিতে বাধা দিচ্ছে।
বক্তারা বলেন -এই নৃশংস ঘটনার পরও পাহাড়ের প্রভাবশালী উপজাতি সংগঠন ইউপিডিএফ, জেএসএস কিংবা কেএনএফ কেউই কোনো নিন্দা বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি। চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন, মাইকেল চাকমা সহ তথাকথিত সুশীল চেতনাবাজরা সবাই চুপ। এই বাচ্চার দায় ও অভিভাবকত্ব নিশ্চিত করা সহ ধর্ষক ও কথিত বিচারকদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।