হালদা নদীর উৎপত্তিস্থল উপজেলা খাগড়াছড়ির রামগড়ে হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে অংশীজনের উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে রামগড় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম এর সভাপতিত্বে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা। রামগড় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নোমান হোসেন, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. রাজু আহাম্মদ, জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা, ওসি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়াসহ প্রমুখ।
হালদা নদী ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান অতিথী শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, হালদা নদীর উৎপত্তি, বিস্তার এবং সমাপ্তি সবই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। তাই দেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ সকলের দায়িত্ব। মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করে হালদার উৎপত্তি রক্ষা ও মৎস্য প্রজনন আরহনে পরিকল্পনা বাস্তবায়না করা হবে।
সিমিনারে বক্তারা বলেন, হালদা নদী এখন আন্তর্জাতিকভাবে একটি জনপ্রিয় নদীতে রূপ নিয়েছে। হালদা বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী, যেখান থেকে রুইজাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ) নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। এই নদীর স্বতন্ত্র অবস্থা যেন বিনষ্ট না হয়, এখানে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এর যাতে দূষণ না হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়গুলো নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে।
এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আনোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি নিজাম উদ্দিন লাবলু, মৎস্য চাষী আনিসুল হক, নদীতীরবর্তী বাসিন্ধা কর্ণমোহন ত্রিপুরাসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে হালদার পাড়ের বাসিন্দা, মৎস্যজীবি, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।


















