মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের দেওয়া সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অপরিসীম। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনতার পাশাপাশি বাংলাদেশ নামের একটি দেশ পেয়েছি। তাদের এই আত্মত্যাগের মূল্য কিছুতেই শোধ হবেনা।
রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলার পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন, পরিষদের সদস্য অংশু ছাইন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ রুহুল আমীন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য দিপ্তীময় তালুকদার, সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়াসহ পরিষদে হস্তান্তরিত বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও রাঙামাটির বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করার পর ভেদভেদিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ম্যুরালে এবং বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আবদুর রউফের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৬জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ৫হাজার, ৪০জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ২হাজার এবং ২৫জন মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের মাঝে ২ হাজার টাকাসহ প্রত্যেককে উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়।