বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে গত ২০মার্চ থেকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়ে শনিবার বিকালে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষনার মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করা হয়েছে।
এরমধ্যে লোক নিয়োগে ফিটনেস যাচাই বাছাই, শাররিক গঠন পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা শেষে সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পর মেধা তালিকা বাছাই পূর্বক রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়।
চুড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে ২ নারীসহ মোট ১৬ জন বাংলাদেশ পুলিশে চাকরির জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন।
শনিবার বিকালে রাঙামাটি সুখিনীলগঞ্জ পুলিশ লাইনস মাঠে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, প্রায় ৫শ’জন অংশ গ্রহনকারী পুলিশে ভর্তি হতে এসে পর্যাক্রমে লিখিত পরীক্ষায় ৪৫ জন উর্ত্তীণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংগ্রহন করে।
এই ৪৫ জনের মধ্য থেকে তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে মেধা যাছাই করে ২ নারীসহ ১৬ জনকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে চুড়ান্ত করা হয়েছে।
তবে সাধারণ কোটা, উপজাতি কোটা, পোষ্য কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও আনসার ভিডিপি কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে পুলিশ নিয়োগে সর্বোচ্চ মেধাকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।
পুলিশ কনস্টেবল পদে নির্বাচিতরা বলেন, ১২০টাকার বিনিময়ে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে যোগ্যতার বলে আজ আমি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য হিসাবে নিয়োগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.বেনজীর আহম্মদ ও রাঙামাটি পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই। কোন প্রকার টাকা পয়সা ছাড়াই আমাদের চাকরি হয়েছে।
পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন বলেন, যারা পুলিশে উর্ত্তীণ হয়ে আজ নির্বাচিত হয়েছে সবাই অত্যন্ত ভাল রেজাল্ট করেছে। আমারা অত্যন্ত সর্তকতার সহীত নিয়োগ সম্পন্ন করেছি। কেউ বলতে পারবে না কারও কাছ থেকে একটা টাকা নেওয়া হয়েছে।
শুধু মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে। যে ১৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে তারা সবাই মেধা ভিত্তিক ও কোটা সংরক্ষণের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রায় ৫শ’ পরীক্ষার্থী পুলিশে অংশ গ্রহন করে। আমরা যাচাই বাছাই করতে করতে সর্ব শেষ ৯০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৪৫ জন উর্ত্তীণ হয়েছে।
ওখান থেকে মেধা যাচাই বাছাই করে ১৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ১৬ জন নির্বাচিত নতুন কনস্টেবলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রাঙামাটি পুলিশ সুপার।