পার্বত্য অঞ্চলসহ অন্যান্য পাহাড়ী এলাকায় ম্যালেরিয়া এক সময় ছিল আতঙ্কের একটি নাম। কেননা, অতীতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এদেশের অনেক মানুষ দূর্ভাগ্যজনকভাবে, অকালে তাদের প্রাণ হারিয়েছে। এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচী জুরাছড়ি উপজেলায় পর্যায়ে মাল্টি-স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সমম্বয় সভা বক্তারা।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অনন্যা চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা, ব্র্যাক ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচীর ম্যানেজার অনিল বরণ দেওয়ানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ফয়সাল বীন ফেরদৌস। বক্তারা বলেন, দেশের তিন পার্বত্য জেলা ম্যালেরিয়া ঝুকিতে রয়েছে। তার মধ্যে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা ম্যালেরিয়ার বাড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বেশি ।
বক্তারা আরও বলেন, সীমান্তবর্তী পাহাড়, বেশি বৃষ্টিপাত, বনাঞ্চলবেষ্টিত হওয়া, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অশিক্ষা ও দারিদ্র্য, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইত্যাদি নানা কারণে এসব অঞ্চলের মানুষকে প্রতিনিয়ত লড়াই করে যেতে হচ্ছে প্রাণঘাতী এই রোগের সাথে।
জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি ব্র্যাকের নেতৃত্বে মাঠ পর্যায়ে বিনামুল্যে দীর্ঘস্থায়ী কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ, ম্যালেরিয়া রোগ সনাক্তকরন ও চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করছে। যার ফলে অতি দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি জানান।