১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গোলাপঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল (কবর) গিয়ে মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা।
সোমবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি থেকে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে রওনা হয়ে মঙ্গলবার পৌঁছে এদিন সকাল ১০টায় দলীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতের কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, দলটির জেলা শীর্ষ নেতা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বরসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ৭ শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সার্বিক তত্ত¡াবধানে ৭ শতাধিক নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতে গেছেন। তাদের আসা-যাওয়া এবং খাওয়া-দাওয়াসহ সব ব্যয় বহন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
এদিকে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের এ কর্মসূচি দলীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্যণীয় হয়েছে। কারণ দলটির জেলা নেতাদের অনেকে এর আগে ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলেও দলীয়ভাবে এ ধরনের কর্মসূচি অনেকটা ছিল নজিরবিহীন।
তবে এবারও এর প্রথম নজির দেখিয়েছেন নিখিল কুমার চাকমাসহ জেলা আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাদের একটি অংশ।
দলের প্রতি আনুগত্যসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশে গত ২৩ জুলাই মাজার গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করে এসছেন বলে জানান তারা। বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সবার মাঝে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।
যা দেখেই টনক নড়ে সভাপতি, সম্পাদকসহ জেলা আওয়ামী লীগের অন্য শীর্ষ নেতাদের মাঝেও। সেই অনুসরণেই শ’শ’ নেতাকর্মীর বহর নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের এবারের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত পালন করা হয় বলে মন্তব্য দলটির অনেকের।
এর আগে গত ২৩ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব মর্যাদা) নিখিল কুমার চাকমার নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের জৈষ্ঠ নেতাকর্মীদের একটি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল গিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করে মাজার জিয়ারতে যান। তখন নিখিল কুমার চাকমাসহ অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন, গত জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মো: কামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জমির উদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. হানিফ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, উপ-দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন সেলিম, কার্যনির্বাহী সদস্য ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, অমর কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, শফিকুর রহমানসহ জেলা, উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী।
এ প্রসঙ্গে নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় ও দলীয় আদর্শ। তাই মন থেকেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাই। তার প্রতি ভালোবাসার অনুভুতি প্রকাশ করি। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু শুধু একক কোনো দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির নন। তিনি সমগ্র জাতির, দেশবাসীর। তিনি জাতির পিতা। স্বাধীনতার মহান স্থপতি। সেই আদর্শিক চেতনার অনুভুতি থেকেই ২৩ জুলাই আমরা রাঙামাটি জেলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি দল টুঙ্গিপাড়া গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে এসেছি।