বুধবার , ১২ অক্টোবর ২০২২ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও অপরাধ
  3. উন্নয়ন খবর
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. এনজিও
  6. করোনা আপডেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  9. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  10. খাগড়াছড়ি
  11. খোলা জানালা
  12. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  13. জাতীয়
  14. দুর্ঘটনা
  15. পর্যটন

সচেতনতার অভাব ও কুসংস্কারের কারণে পাহাড়ে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল হচ্ছে না

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
অক্টোবর ১২, ২০২২ ১২:২৫ অপরাহ্ণ

গত ৯ মাসে তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) জেলায় ১০২ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত করেছে কুষ্ঠ রোগ নিয়ে কাজ করা বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লেপ্রোসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা, রাঙামাটির বরকল উপজেলার কালাপুন ছড়া, আন্দার মানিকসহ দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকা, জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা, বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশী।

সচেতনতার অভাব, কুসংস্কারের কারণে রোগীরা চিকিৎসার আওতায় আসছে না। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এ রোগ নির্মুল করা যাচ্ছে না।

বুধবার সকালে রাঙামাটি শহরের মোটেল জজে লেপ্রোসির এনুয়েল লার্নিং রিভিউ ওয়ার্কশপে এ তথ্য জানায় লেপ্রোসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপাশ খীসা।

এ সময় তিনি বলেন, বছরের রিপোর্ট দেখে বুঝা যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে কুষ্ঠ রোগ বাড়েও না কমেও। প্রতি বছর একই পরিমাণ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ রোগ নির্মূল করতে হলে কুষ্ঠ রোগ প্রবন এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে বেশী কাজ করতে হবে। ম্যালেরিয়া নির্মূলের জন্য রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সেভাবে কাজ করছে। লেপ্রোসিকে সে পথ অবলম্বন করতে হবে।

কর্মশালা শুরু আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের কুষ্ঠ রোগের অবস্থা নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেপ্রোসি পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানেজার পরশ চাকমা।

এ সময় তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের যেখানে দুর্গমতা, পুষ্টি এবং স্যানিটেশনের অভাব রয়েছে সেসব এলাকায় কুষ্ঠ রোগের প্রবনতা দেখা যায়। এসব এলাকার মানুষ রোগটি সম্পর্কে যেমনি অসচেতন তেমনি তারা কুসংস্কারে বিশ্বাসী। কুষ্ঠ রোগ যে চিকিৎসায় ভাল হয় সেটা তারা জানে না। সমাজ থেকে বিতাড়িত হবার ভয়ে রোগটির সম্পর্কে তথ্য লুকায়। এদের কুষ্ঠরোগ বললে এরা মনে কষ্ট পায়। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যখন রোগের শেষ পর্যায়ে চলে যায় তখন তারা চিকিৎসা নিতে আসে। তখন চিকিৎসায় ভাল হলেও এরা প্রতিবন্ধী হয়ে যায়।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার বিনোধ শেখর চাকমা, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিশ্বজিৎ চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেপ্রোসি প্রোগ্রাম লিডার জন অর্পন সমদ্দার।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ