গত কয়েক বছর ধরে ফেসবুক আইডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিকৃত পোষ্ট ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে প্রপাগন্ডাসহ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অভিযোগে ফেইক ফেসবুক আইডির এডমিন মো. ইউসুফ আলী ও এ চক্রের সদস্য মো. কেফায়েত উল্যাহ নামে দুইজনকে আটক করেছেন ভুক্তভোগী জনতা।
১৩ নভেম্বর খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া এলাকা থেকে ভুক্তভোগীরা তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিন হাতিয়াপাড়ার মৃত: আব্দুল বারেকের ছেলে মো. ইউসুফ আলী ও কাজীপাড়ার মৃত: মো. হোসেনের ছেলে মো. কেফায়েত উল্যাহ। মো. কেফায়েত উল্যাহ মাটিরাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ।
এঘটনায় ভুক্তভোগী মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদুল ইসলাম সোহাগ বাদী হয়ে এ ধরনের অপতৎপরতার সাথে জড়িত ৬জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আটককৃতরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যের ছবি ব্যবহার করে একাধিক ফেইক ফেসবুক আইডি তৈরি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিকৃত পোষ্টসহ বিভিন্ন জনের নামে বানোয়াট, মিথ্যা, অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল। তথ্যানুসন্ধানের পর ভুক্তভোগী জনতা তাদের আটক করে মোবাইলে ব্যবহৃত ফেইক আইডি এবং ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করা সকল তথ্য দেখতে পেয়ে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী জনতার হাতে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিয়মিত মামলা দায়েরের পর রোববার রাতেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি অপর অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে। বিজ্ঞ আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলেও জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আসলাম চৌধুরী’ নামে একাধিক ফেইক আইডি ব্যবহার করে গত কয়েক বছর ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিকৃত পোষ্ট ও মাটিরাঙ্গার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ন, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন পোস্টের মাধ্যমে অপপ্রচার করে একধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে।