রাঙামাটি সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে হেমন্তের নবান্ন পিঠা উৎসব। পিঠা উৎসবে অন্তত ৭০ প্রজাতির পিঠার পসরা দেখা মিলেছে কলেজটিতে।
বুধবার সকাল ১১ টায় রাঙামাটি সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪ টি বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাঙামাটি সরকারি কলেজের প্রাণবিদ্যা বিভাগের উপাধ্যক্ষ পারভিন আখতারের সভাপতিত্বে হেমন্তের এ পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়।
পিঠা উৎসবে ৪ টি স্টলে ৭০ প্রজাতির বাহারী ধরনের পিঠা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এ-সব পিঠা বাঙালী, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টী- চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা, তঞ্চঙ্গা, রাখাইনসহ নানা সম্প্রদায়ের নিজেদের সংস্কৃতির পিঠা দেখা গিয়েছে।
রাঙামাটি সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইব্রাহিম খলিল বলেন, রাঙামাটি সরকারি প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজেদের সংস্কৃতি ধারন করে পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে এটা অত্যান্ত আনন্দের বিষয়, শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি গ্রামীন বাংলার প্রতিটি মানুষ তার নিজস্ব সংস্কৃতির ধারা অব্যাহত রাখে দেশে তথা দেশের বাহিরে তুলে ধরতে হবে৷ আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তবে সংস্কৃতি যেনো ভুলে না যাই সেই বিষয়টি মনে ধারন করতে হবে।
৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সায়মা সুলতানা বলেন, আমাদের রাঙামাটি সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব হচ্ছে এটা খুবই আনন্দের বিষয়। আমরা সবাই বাসা থেকে পিঠা বানিয়ে নিয়ে এসেছি। আজ পিঠা উৎসবের মধ্যে দিয়ে অনেক বাহারি খাবারের পিঠার দেখা পেয়েছি। তারমধ্যে নকশি পিঠা, পুলিপিঠা, খিরসা, ভরাপিঠা, মারমা পিঠা, পাটিসাপটা, স্যাইন্নে পিঠা।
এসময় তিনি আরো বলেন, পিঠা উৎসব যেন পাহাড়ের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে, নিজেদের সংস্কৃতি ধারন করে গ্রামীণ পিঠার আয়োজন আরো সুদূর অতীতের মতো যেন থাকে। আধুনিকতার ছোঁয়া যেন দেশের ঐতিহ্য হারিয়ে না যায়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি সরকারি কলেজের প্রফেসর জাহেদা সুলতানা, রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক রনজিত বিশ্বাস, রাশেদা মমতাজ ফারজানা প্রমুখ।