১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের পর রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় আঞ্চলিক দলগুলোর সংঘাতে অনেকে স্বামী, অনেকে সন্তান, অনেকে ভাই, অনেকে বাবা হারিয়েছেন। এর সংখ্যা ২৫ জনের অধিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে ১ অক্টোবর দুমদুম্যা ইউনিয়নে একই পরিবারে ডাকাত দল ৫ জনকে হত্যা করে।
২০০২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারী বনযোগীছড়ায় ইউপিডিএফের সশস্ত্র এক সদস্য নিহত হয়।
২০০৬ সালে ১ ডিসেম্বর সম অধিকারের পূর্বাঞ্চলের নেতা কিনা মোহন চাকমাকে অপহরণের পর নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। ২০০৭ সালের ১ মার্চ প্রেম কুমার চাকমাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
২০১০ সালে ইউপিডিএফের নেতা রাজু চাকমা ও সাধারণ নাগরিক দেম পেদা চাকমাকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয়।
২০১১ সালে জেএসএসের সমর্থক নিরঞ্জন চাকমা, কালা চান চাকমা, সন্তোষ চাকমাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
একই সালে ১৫ আগস্ট নব নির্বাচিত জুরাছড়ি ইউপি সদস্য গোপাল চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
২০১৭ সালে ৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতা অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয় ।
২০২০ সালে ১২ এপ্রিল বনযোগীছড়া ইউপি সদস্য হেমন্ত চাকমাকে গুলি করে হত্যা।
সর্বশেষ ২০২১ সালে ১৬ জুন লুলাংছড়ি মৌজার স্থানীয় কার্বারী পার্থর মুনি চাকমাকে হত্যা করা হয়।
এছাড়া প্রশাসনের অজ্ঞাত নজরের বাহিরে অহৃরনের পর হত্যার স্বীকার হয়েছে ১০-১৫ জন প্রায় বলে দাবী স্থানীয়দের।
উপজেলার হেডম্যান করুনা ময় চাকমা বলেন, পার্বত্যবাসী পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের পর যে আশার আলো দেখেছিল সেটি এখন শুধু মাত্র স্বপ্ন।
বর্তমানে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এখন রাজনৈতিক ঘেরাকলে পড়েছে।
পার্বত্য এলাকায় ক্রমান্বয়ে বিভক্তি আঞ্চলিক সংগঠন সৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ে বাড়ছে আতংক ও ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিউল আজম বলেন থানা অধিকাংশ হত্যাকান্ড রাজনৈতিক সংঘাতে ঘটেছে।