কাপ্তাইয়ের শিলছড়ি এলাকার বাসিন্দা কৃষক বাচ্ছু। কৃষি কাজ করেই স্ত্রী-পুত্র সহ পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চলে তার। তবে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তান্ডবে তার বাগানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে তার হাতে গড়ে তোলা মিশ্র ফল ও সবজি বাগানটি ঘুর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। যার ফলে অসহায় কৃষক বাচ্ছু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে কৃষক বাচ্চু নদী হতে বহু কষ্ট করে পানি সংগ্রহ করে তার স্বপ্নের বাগানটি গড়েছিল।
এছাড়া এইবছর শাকসবজি ও বিভিন্ন ফল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার স্বপ্ন বুনছিলো সে। কিন্ত সব স্বপ্ন এক নিমিষে ভেঙ্গে দিয়েছে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং।
এদিকে বিষয়টি নজরে আসে কাপ্তাইয়ের মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের। কৃষক বাচ্চুর বাগান পরিদর্শন করতে গেলে ইউএনওকে সে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটি সেচ পাম্পের আবেদন জানান।
আজ (সোমবার) ইউএনও এর দপ্তরে কৃষক বাচ্চুকে একটি সেচ পাম্প প্রদানের মাধ্যমে তার ইচ্ছাটি পূরণ করলেন ইউএনও মুনতাসির জাহান। কৃষক বাচ্ছু পাম্পটি হাতে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে এবং ইউএনও এর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এইসময় কাপ্তাই উপজেলা পিআইও রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, বাচ্ছু একজন পরিশ্রমী কৃষক সে বহুকষ্ট করে একটি বাগান করেছিল। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ তার সব কৃষি বাগান লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ওর একটি ইচ্ছা ছিল সেচপাম্পের আমি তার ইচ্ছাটি পূরণ করেছি মাত্র। আমার বিশ্বাস বাচ্ছু আবার ঘুরে দাঁড়াবে। সেচ পাম্পটি পেয়ে কৃষক বাচ্চুর হাঁসিটা আমার অনেক ভালো লেগেছে।
কৃষক এনামুল হক বাচ্ছু জানান, আমি একজন কৃষক এবং কৃষি কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে চলি। সম্প্রতি সিত্রাংয়ে আমার স্বপ্নের বাগানটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এছাড়া আমার কৃষক কার্ড থাকা সত্বেও বাগান লণ্ডভণ্ড হওয়ার পরও কৃষি অফিস হতে এ যাবৎ কেউ কোন খোঁজ খবর নেয়নি। এবং কোন প্রণোদনা দেয়নি। আমাদের কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার হল গরীব অসহায়দের বন্ধু। যখন যে সহযোগিতা চেয়েছি, স্যারের নিকট তা পেয়েছি। আমাকে এই সেচ পাম্পটি দেওয়ায় অনেক আনন্দ ও খুশি হয়েছি। আমি এজন্য উনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।